বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভক্তিরত্নাকর.djvu/৫৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

総 。 ভক্তিরত্নীকর । [ নবমতরঙ্গ । হৃদয় । পত্রে ব্যক্ত দর্শন আকাঙক্ষ অতিশয় ॥ আচাৰ্য্য রাজায় শীঘ্র পত্রিক লিখিল । যাইতে বিলম্ব কিছু পত্রে জানাইল । আর যে যে সমাচার লিখিল তাহাতে। পত্রিকা দিলেন সেই মনুষ্যের হাতে ॥ পত্রী লৈয় লোক বনবিষ্ণুপুরে গেল। পঞ্জী পাঠে রাজা মহা আনন্দ পাইলা ॥ এথা শ্ৰী আচাৰ্য্য শিষ্যগণেরে পড়ায়। সর্বশ্রেষ্ঠ ভক্তি কহি গর্জে সিংহপ্রায় আচার্যের এই এক চিন্তা নিরন্তর । প্রায় তাদর্শন হৈলা প্রভু পরিকর। যে কেউ আছেন সে সবার স্থির নয়। ঐছে বিচারিতে অতিব্যাকুলছদয় ॥ চিত্তস্থিরমাত্র ভক্তিশাস্ত্রের বিচারে । আচার্ঘ্যের বিদ্যাবল ব্যাপয়ে সংসারে। নীনাদেশ হৈতে যে আইসে বিদ্যা বান। সে সবে পড়ান ভক্তিরত্ন দিয়া দান ॥ গোস্বামির গ্রন্থ অধ্যয়নের কারণ এক দিন তাইলা দুই ক্ষেত্রস্থ ব্রাহ্মণ। পূপে যে আইলা মিলি তাসবার সনে। চলিলেন আচার্য ঠাকুর সন্নিধানে ॥ ভক্তিপূর্ব দোহে অচীর্যেরে প্রণমিলা । আচাৰ্য্য প্রণমি দোহে আলিঙ্গন কৈলা ॥ দেহে জিজ্ঞাসয়ে ঐক্ষেত্রের সমাচার। দেহে কহে কহিতে দুঃখের নাহি পার । । প্রভু পরিকর যে ছিলেন নীলাচলে। নেত্র অগোচর প্রায় হইতেছে সকলে ॥ তথ। গিয়াছিলা শ্যামানন্দ প্রেমময় । যে দেখিল তার দশ কহিল না হয়। কুন কুন মহান্তের দর্শন পাইলা । সে সবার সঙ্গোপনে মৃতপ্রায় হৈলা ৷ বিদরে পাষাণ দারু শুনি সে ক্ৰন্দন। প্রভুর ইচ্ছায় মাত্র রহিল জীবন ৷