পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই। জাতির প্রতিনিধি স্বরূপগণ্য ছিলেন। প্ৰতিভাও জ্ঞান জাতি বিচার করেন । উহা সাধনা দ্বারা লাভ করিতে হয়,—যিনি একাগ্ৰ মনে উহাদের সাধনা করিবেন। তিনি নিশ্চয়ই সফল মনোরথ হইয়া বিজয়-মাল্য গলে ধারণ করিতে পরিবেন। এ নগরের মধ্যে এমন একটা সজীবতা আছে যে তাহাতে সহজেই পথিককে মুগ্ধ করিয়া ফেলে। এ স্থানে নানাজাতির বাসের পরিচয় সহজেই অনুভব করা যায়। এমন কি এস্থানে একটা ‘ফরাসী সাহিত্য সম্মিলনী, পৰ্য্যন্ত আছে। সেই পুস্তকাগার ও পাঠ গৃহটি দেখিতে প্ৰশস্ত ও মনোরম। তাহাতে বিখ্যাত ফরাসী গ্ৰন্থকারগণের বহু গ্ৰন্থ আছে। এই সম্মিলনীটি একজন পাসী বণিক স্থাপন করেন। ফরাসী দেশের বহু প্রাচীন সংবাদ পত্রাদিও এস্থানে আছে। আধুনিক বিখ্যাত পত্ৰ সমূহও এখানে আইসে । হরিৎ-শ্যামল বিটপী-পুঞ্জের অভ্যন্তরে সমুদ্রবায়ু মৃদু-মধুর শীতল স্পর্শ জনিত সুখলাভ করিতে হইলে এখানকার উদ্যান সমূহ বিশেষ সুন্দর ও তৃপ্তি দায়ক। এনগরের সমুদয় দৃশ্যই উজ্জ্বল প্ৰমোদময় । বোম্বাই সহরে নবাগত ব্যক্তিগণের দেখিবার জিনিষের অভাব নাই। প্রত্যেকটি স্থানের ও প্রত্যেকটি দ্রষ্টব্য পদার্থের বিস্তৃত বিবরণ দিতে হইলে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনার প্রয়োজন হয় । আমরা এস্থানের আরও কয়েকটি বিখ্যাত স্থানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়া অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থানের কেবলমাত্র নামোল্লেখ করিব, তাহাতে পাঠকবগের কোনও অসুবিধার কারণ নাই । এস্থানের গভৰ্মেণ্ট হাউস কলিকাতার ন্যায়- দেখিতে তত সুন্দর নহে। মালাবার পর্বতের শেষ প্ৰান্তে মালাবার পয়েণ্ট নামক স্থানে ইহা অবস্থিত। সমুদ্রের তীর ধরিয়া ঘুরিয়া গেলে ফোর্ট হইতে চারি মাইল যাইতে হয়। ফোর্ট হইতে তিন মাইল দূর হইতে পাহাড়ে আরোহণ করিতে হয়, সমুদ্র তটস্থ শেষাৰ্দ্ধ পথের উভয় পার্শ্বে উচ্চ শির তরুরাজি পরিশোভিত। একদিকে সমুদ্র তরঙ্গের আকুল উচ্ছাস, অন্য দিকে মৃদু-বায়ু বিকম্পিত তরু পল্লবের ঘন বিন্যস্ত পত্রাবলীর মধুর উন্মাদ সঙ্গীত। এ পথে নগরের পথের ন্যায় তত জন-কোলাহলও নাই,—একটীি নিরিবিলি শান্ত সৌন্দৰ্য্য এ পথকে মহিমামণ্ডিত করিয়াছে। সমুদ্র তীরস্থ ৭৩৫ शडcभ श्gन ।