পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9tsN5-stal পাইয়াছিলেন । এই বিদ্যালয়ে নানা রূপ শিল্প দ্রব্যাদি প্ৰস্তুত হইয়া থাকে । ছাত্রদের শিক্ষার্থ মাসিক কেবল মাত্র একটাকা করিয়া বেতন দিতে হয় । এ নগরে হিন্দু, মুসলমান, পাসী, জৈন, ইহুদী প্ৰভৃতি প্ৰত্যেক বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তিগণেরই ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্ম-মন্দির আছে । কোলাবা হইতে মাহিম পৰ্য্যন্ত মুসলমানগণের মসজিদ প্ৰায় একশত হইবে। এই সব মসজিদের মধ্যে আবার খোজা, মোগল ও বোরাদের জন্য কয়েকটী মসজিদ পৃথক আছে। অন্যান্য মুসলমান প্রধান স্থানে জুম্মা মসজিদ ( শুক্রবার দিবস মুসলমানগণ যে স্থানে নমাজ পড়ে) যেমন প্ৰধান ; এ নগরেও তদ্ররূপ। জুম্মা মসজিদই প্ৰধান। এই প্ৰাচীন সুবৃহৎ মসজিদটির বার্ষিক আয় প্ৰায় ৩০,০০০ হাজার টাকা হইবে। এ স্থানে শুক্রবার দিবস প্রাত্যহিক উপাসনার জন্য একজন মোল্লা, প্রাত্যহিক উপাসনার জন্য একজন ধৰ্ম্মযাজক, একজন মুয়াজিজম ( যে ব্যক্তি উপাসনার জন্য) উচ্চৈস্বরে আহবান করিয়া থাকে) ও কতকগুলি কৰ্ম্মচারী মসজিদের কাৰ্য্য নির্বাঙ্গার্থ নিযুক্ত আছে। এই মসজিদ সংশ্লিষ্ট একটী বিদ্যালয়ে আরবী, পারসী ও হিন্দুস্থানী শিক্ষা দেওয়া হয়। ধৰ্ম্ম শিক্ষাই এই শিক্ষাগারের প্রধান উদ্দেশ্য, ইহার ব্যয় মহম্মদ আলি বেগের দাতব্য বিদ্যালয়ফণ্ড হইতে নির্বাহিত হইয়া থাকে। এই প্ৰধান জুম্মা মসজিদ ব্যতীত প্ৰত্যেক মুসলমান পাড়াতেই এক একটী মসজিদ আছে, উহাদের ব্যয় নিৰ্বাহাৰ্থ সেই সেই পাড়ার মুসলমানগণ জনপ্ৰতি বার্ষিক একটাকা হিসাবে চাদ দিয়া থাকে। এ নগরে সর্বশুদ্ধ ৩৩টি পাসী ধৰ্ম্ম-মন্দির আছে। পার্স অগ্নি তন্মধ্যে কএকটি মন্দির কএকজন পারসী পরিবারের মন্দির । নিজস্ব সম্পত্তি, উহাতে সাধারণের যাইবার কোনও অধিকার নাই। এ সব মন্দির আতস বেহরাম, আতস আদারণ বা অঘিয়ারি এ এবং আতস দাদগা। এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। মধ্য প্রকোষ্ঠে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত আছে। উহার তত্ত্বাবধানের জন্য একজন | পুরোহিত নিযুক্ত আছেন। চন্দনকাষ্ঠ প্ৰভৃতি অগ্নির আহার যোগাইয়া অগ্নি প্ৰজ্জ্বলিত রাখাই তঁাহার এক মাত্ৰ কৰ্ত্তব্য। এ সব মন্দিরের অগ্নি প্ৰতিষ্ঠা বিশেষ কৌতুহল জনক। ইহারা নানাজাতীয় অগ্নির সংগ্ৰহ করিয়া থাকে। পরে সে ধৰ্ম্মমন্দিরাদি ।