বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

assists "ভান্ধকারময়ী রজনীতে শীতের প্রকোপে কম্পান্বিত কলেবারে একখানা ফিটিং গাড়ী করিয়া কমিশারিয়েটের বড় বাবু শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রনাথ চক্ৰবত্তা মহাশয়ের বাসায় চলিলাম, সেখানে পহুছিয়া জানিতে পারিলাম । যে চন্দ্ৰবাবু নিমন্ত্রণোপলক্ষে অন্যত্র গমন করিয়াছেন, বহির্বাটীর দ্বার রুদ্ধ। ভূত্য বাড়ীতে সংবাদ দিল। কিন্তু জানি না কিরূপে তাহার সুশীলা সহধৰ্ম্মিণী তত্ত্ব পাইয়াছিলেন, আমরা কোথায় যাইবএবং নিশীথে এইরূপ অপরিচিত স্থানে কি করা কীৰ্ত্তব্য এবম্বিধ চিন্তা করিবার পূর্বে উক্ত পুণ্যবতী মহিলা আমাদিগকে স্বীয় বৈঠকখানায় অবস্থানের বিশেষ যোগাড় করিয়া দিলেন। কোয়েটাতে প্ৰতিগুহেই অগ্নির চিমনি আছে, আমাদিগকে শীতে নিতান্ত অভিভূত জানিয়া অগ্নির বন্দোবস্তও সুন্দরীরূপে করিয়া দেওয়াইলেন-- এমনকি এই অতিথিবৎসল ধাৰ্ম্মিক মহিলা অন্তঃস্বত্বা থাকা সত্ত্বেও প্ৰভূত ক্লেশ স্বীকার করিয়া এত রাত্ৰিতে স্বহস্তে রন্ধনাদি করতঃ আমাদিগকে ভোজন করাইয়াছিলেন। এইরূপ বুদ্ধিমতী ও পরোপকারিণী রমণী ভ্ৰমণপথে অতি অল্পই দেখিয়াছি। আমরা ভোজনান্তে শয়নের উদ্যোগ করিতেছি এইরূপ সময়ে চন্দ্রনাথ বাবু বাসায় আসিলেন এবং আমাদের পরিচয়াদি গ্ৰহণ পূর্বক বিশেষরূপে আপ্যায়িত করিলেন। আমরা শয়নকালে প্রয়োজনীয় মনে করিয়া ঘটিতে ও বালতীতে জল রাখিয়া দিলাম, কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! রাত্ৰিশেষে জল আনিতে গিয়া । দেখি জল বরফে পরিণত হইয়াছে। পরদিন বেলা প্ৰায় আট ঘটিকার সময় সূৰ্য্যদেবের সহিত আমাদের সাক্ষাৎ হইল, এখানে সূৰ্য্য ঠাকুরের নাইকো জারিজুরি। আমরা কোনও প্রয়োজন বশতঃ বাজারে বাহির হইয়াছিলাম, দেখিলাম পথ, ঘাট, ঘরের ছাদ সমুদয়ই বরফাবৃত। আমাদিগকে স্তুপাকার বরফের উপর দিয়া হাটিয়া যাইতে হইয়াছিল। অপরাহ্নে চন্দ্ৰবাবু ও অক্ষয়বাবু নামধেয় অপর একটী ভদ্রমহোদয়ের ১৩১