ਜਿ . রূপে পরিচিত, হায় রে যুগপরিবর্তন ! দিল্লীর চতুর্দিকে যে প্রাচীর তাহার পরিধি প্ৰায় ছয় মাইল হইবে। এই প্রাচীরের চতুর্দিকে দ্বাদশটি “গান প্রািফ' সিংহদ্বার ও দুইটি সাধারণ তোরণ বিদ্যমান আছে। আমরা এখানে সে গুলির নামোল্লেখ করিলাম ;---(১) তোর্কমান (২) লাহোর (৩) মৌরী (৪) তিলি (৫) মুচি (৬) রাজঘাট (৭) কাবুল (৮) কাশ্মীর (৯) আজমীর (১০) মসজিদ ঘাট (১১) নিগম্বা-—বৰ্ত্তমান সময়ে উহার নাম কলিকাতা · হইয়াছে। (১২) আগ্রা বা দিল্লী। দুর্গ, রাজপ্রাসাদ, রেলষ্টেশন, জামে মসজিদ, চাদনী, বৰ্ত্তমান সৈনিকাবাস, রাণীবাগ প্ৰায় সমুদয়ই প্রাচীরের মধ্যগত ; প্রাচীরের বক্ষে পূৰ্দে যে নয়ন-মন-মোেহকর-অনিন্দ্যসুন্দর শান্তিশীতল কুদশীয় নামক প্ৰসিদ্ধ উদ্যান বিদ্যমান ছিল তাহা এখন ধ্বংসাবশেষ পরিপূর্ণ। দিল্লী নগরে ইষ্ট ইণ্ডিয়া, পাঞ্জাব ও রাজপুতনা ষ্টেটু, এই তিনটী রেল - পথের ষ্টেসন আছে —গ্রাণ্ডটাঙ্করোড এবং আরও কতকগুলি সুন্দর সুন্দর রাজপথ দিল্লী হইতে চতুৰ্দ্দিকে গমন করায় ইহার সৌন্দর্য্য বহু পরিমাণে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে। দিল্লীতে কি স্থলপথে, কি জলপথে উভয় পথেই বাণিজ্যের বিশেষ সুবিধা । বৰ্তমান সময়েও ইতা কলিকাতা, বোম্বাই, রাজপুতনা প্রভৃতির সহিত বিস্তৃত বাণিজ্যের একটা কেন্দ্রস্থল। আমদানী ও রপ্তানী উভয়ই এখানে হইয়া থাকে ; আমদানীর মধ্যে নীলবাড়ি, রাসায়নিক ঔষধাদি, তুলা, রেসম, সূত্র, গোধূম, সর্ষপাদি শস্য, ঘৃত, লবণ, নানাবিধ ধাতু, শৃঙ্গ, চৰ্ম্ম ইত্যাদি ; আর রপ্তানীর মধ্যে তামাক, চিনি, তৈল, বিবিধ অলঙ্কার। ঝিন্দ, কাবুল, অনাবার, বিকানীর, জয়পুর, দোয়া প্ৰভৃতি পাঞ্জাবের সমস্ত নগরে দিল্লীর সওদাগরগণ বাণিজ্য করিয়া থাকে। চাদনী চক কারবারের প্রধান আড্ডা ও দিল্লীর সর্বপ্রধান রাস্তা। এখানকার শ্ৰেণীবদ্ধ বিপণিশ্রেণী ও নানাবিধ দ্রব্য সমূহ দৰ্শন করিলে হৃদয় বিমুগ্ধ ৷ হয়। আমরা সর্বপ্রথমে দিল্লীর রাজপ্রাসাদ দর্শন করিতে অগ্রসর । হইলাম। ইহা যমুনার তীরে নগরের পূর্বভাগে অবস্থিত। এই প্ৰসিদ্ধ প্রাসাদ উত্তর দক্ষিণে ৩২০০ ফিট ও পূর্ব পশ্চিমে ১৬০০ ফিট। স্থাপত্যকাৰ্য্যে এই প্ৰাসাদ অতুলনীয়। ইহা “দেওয়ানে আম” (সাধারণ দর্শকগৃহ ) “দেওয়ানে খাস” মতি মসজিদ 西t哥°t开怀旧 ܕ: S. లిసి
