পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । ঠোঁটে ভূষিত করিয়াছিলেন সেই কোহিনূর-ইতিহাস সত্য সত্যই আলোচনার যোগ্য। হায়! কোহিনূরের কাহিনীও কম আশ্চৰ্য্যের নহে। মোগলসম্রাটগণের পরে ইহা পঞ্জাবের বীরকেশরী রণজিতের বক্ষও কিছুদিন পৰ্য্যন্ত শোভা করিয়া অবশেষে ১৮৫০ খৃষ্টীয় অব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক স্বৰ্গীয়া মহারাণী ভারতেশ্বরীর নিকট প্রেরিত হইয়া ইংলণ্ডেশ্বর সপ্তম এডুওয়ার্ডের মুকুটের মধ্যমণি রূপে আপনার গৌরব আসন সুপ্ৰতিষ্ঠিত রাখিয়াছে। কোহিনুর এখনও আপনার অস্তিত্ব রক্ষা করিতেছে কিন্তু যাহারা তাহাকে করতলগত করিবার নিমিত্ত শত যত্ন, চেষ্টা এমন কি শোণিতপাতে ধরা বক্ষ কলঙ্কিত করিয়াছিল, হায় । জগদীশ্বর তাহারা এখন কোথায় ? কোথায় তাহদের সেই বীরদর্প ও ধনৈশ্বৰ্য্যের মোহ ? কবি জগতের এই নশ্বরতা দেখিয়াই গাহিয়াছেন,--- “যত্নে তৃণ কাষ্ঠখান, রহে যুগ পরিমাণ − किलु यद्ध 0ल श्नांभ ना इश्श वांझों ।” দেওয়ানী আমের পশ্চাতভাগেই রাণী মহাল—এবং উহার উত্তর ভাগেই বাদশাহের শয়ন-গৃহ বা খোয়াবুগা। এখানে যে উৎকৃষ্ট মৰ্ম্মরপ্রস্তর জাল আছে তাহা অতুলনীয়। দেওয়ানী খাসের উত্তর পার্শ্বে স্নানাগার বা হামাম। श्ॉमtभ द! এই স্থানের কক্ষগুলি অত্যন্ত মনোহর। এই কক্ষের মালাগার। প্রাচীর এবং ছাদ কাচে সুশোভিত। যে দিকে দৃষ্টিপাত করা যায় সেই দিকেই প্ৰতিবিম্ব প্ৰতিফলিত। যখন নুরজাহান, মমতাজ, যোধাবাই প্রভৃতি রূপসী বেগমগণ এই কক্ষে স্নান করিতেন না জানি তখন ইহা কত শোভাই ধারণ করিত। বুঝি চতুর্দিকের দর্পণে নিজ নিজ সুঠাম দেহবল্লরীর শোভাময় প্ৰতিবিম্ব দর্শনে বুঝিতে পারিতেন যে কি কুহকে র্তাহারা দিল্লীর সম্রাটকে করায়ত্ত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এখানে এক দিন যে সুর ললনাগণ মৰ্ম্মর সলিল ধারের সুরভি স্রোতে গা ঢালিয়া দিয়া আরাম অনুভব করিতেন আজ তাহারা • কোথায় ? কত গল্পে-কলহাস্যে তখন এ কক্ষগুলি মুখরিত হইত—সেই রসালাপ—সেই মন্দালসে উপবিষ্ট । অনাবৃত দেহের কনক শোভা --নয়ন কোণে বিলোল কটাক্ষ-হায়! কল্পনায়ও হৃদয়ে আনন্দের উদ্রেক হয়। বৃহত্তম কক্ষের চারিদিকে আরও কতকগুলি S8&