পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। এই ভগ্নস্তুপের দক্ষিণদিকে সম্রাট সম্রাট হুমায়ুনের হুমায়ুনের সমাধির তুষারধবল মৰ্ম্মর গম্বুজ গগন ভেদ, সমাধি। করিয়া দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। হুমায়ূন । মাকবার বা হুমায়ূন বাদসাহের সমাধিমন্দির পতিভক্তির অপূৰ্ব্ব নিদর্শন। ইহা হুমায়ুন পত্নী মহাত্মা আকবর জননী হামিদ বানু বেগম পতি-শোক কাতর হৃদয়ে মৃত স্বামীর স্মরণার্থ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। যতদিন পৰ্য্যন্ত এই সৌধ-মন্দির বিরাজিত থাকিবে, ততদিন পৰ্যন্ত হামিদাবেগমের প্রেমের অপূর্ব নিদর্শন জগতের বুকে ঘোষণা করিবে-সতীর কাতর-অশ্রািজলের পুণ্য শ্বেতমশ্মরে গঠিত বলিয়া এই সমাধিমন্দির মনােমধ্যে এক পবিত্রতার পুণ্য-স্মৃতি হৃদয়ে জাগাইয়া দিয়াছিল। কোথায় - আজ হামিদাবানু-আর কোথায়ইবা সম্রাট হুমায়ুন, কিন্তু পতিপ্রেমের এই অপূর্ব কীৰ্ত্তিত আজও ধরা বক্ষ হইতে মুছিয়া যায় নাই, আগ্ৰা নগরীর জগদ্বিখ্যাত তাজমহল যেমন পতির প্রেমের অপূর্ব কীৰ্ত্তি মন্দির, তন্ত্ৰপ, ‘হুমায়ুনমাকবারা” ও পত্নীর পতির প্রতি অকৃত্রিম প্রীতির অমর নিদর্শন। কথিত আছে যে হামিদ বেগম পতির মৃত্যুর পরে হিন্দু বিধবা রমণীর ন্যায় ব্ৰতাচারেও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে জীবন অতিবাহিত করিয়াছিলেন। বেগম সাহেব ও প্ৰাণেশ্বরের সমাধিশব্যার পার্শ্বস্থ বাম প্রকোষ্ঠে চির নিদ্রিতা আছেন। এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিতে পনের লক্ষ টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল এবং ষোল বৎসরে ইহার নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্যের পরিসমাপ্তি হয়। * তাজমহল ও সেকেন্দ্রার আকবরের সমাধির ন্যায় এই সমাধি মন্দির ও একটী সুন্দর উদ্যান মধ্যে স্থাপিত। উদ্যানটি বড়ই মনােরম, লতাকুঞ্জের শ্যামল সৌন্দৰ্য-বিহুগের সুমধুর গান—ফুলের প্রফুল্ল হাসি শ্মশান-মধ্যেও সৌন্দর্ঘ্যের হাসি বিকাশ করিয়া দেয়। এই উদ্যানটি প্রায় ১৩২০ বৰ্গ ফিট, ইহার মধ্যস্থলেই ২০০ বর্গ মৰ্ম্মর গ্রথিত প্রাঙ্গণের উপর বিরাট গম্বুজ যুক্ত মন্দির শোভমান। বাদশাহ হুমায়ুনের এই পাষাণ মন্দির আজিও অভিগ্ন এবং প্ৰিয় দৰ্শনইহার আভ্যন্তরিক প্রাচীরের কারুকাৰ্য্য এখনও কিছুমাত্র বিনষ্ট হয় নাই। The Mausolenm was erected at the cost of fifteen lacs of rupees, in sixteen years, from 1554 to 1570, Travels of a Hindoo, »8७