বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজঙ্গনীন্ত্র । দিল্লী হইতে আমরা আজমীর আসিলাম। পর্বতময় বন্ধুর স্থান দিয়া গাড়ী আসিয়া আজমীরে পহুছিয়াছিল। রাজপুতানার মধ্যে আজমীর একটী প্ৰসিদ্ধ স্থান—সমগ্র রাজপুতানার ব্রিটিশ হেডু কোয়ার্টার বলিয়াও এখানে বহু ইংরেজ রাজপুরুষ বাস করিয়া থাকেন। মহাভারতেও আজমীরের উল্লেখ আছে যথা “তৈঃ সৎকৃত: স চতনাজমীরে যথোচিতং পাণ্ডুপুত্ৰান সমেয়াৎ। । মহাভারত বনপৰ্ব্ব । অর্থাৎ আজমীরের রাজা বিদুর পাণ্ডবগণদ্বারা সমাদৃত হইয়া, তাহাদিগের যথেষ্ট সম্বৰ্দ্ধনা করিয়াছিলেন। হিন্দু-মুসলমান উভয়ের নিকটই আজমীর তীর্থরূপে পরিগণিত। প্রতি-দিবস ভারতের নানা দেশ হইতে এস্থানে অগণিত যাত্রী সমাগত হইয়া থাকে। হিন্দু-মুসলমান সকলেই এখানকার প্ৰসিদ্ধদরগা। অর্থাৎ মৈনুদ্দীন চিস্তীর সমাধিকে ভক্তির সহিত অবলোকন করিয়া । থাকেন। আজমীর রাজপুতানার মাড়বার বিভাগের প্রধান সহর। ইহার উৎপত্তি সম্বন্ধে নানারূপ মতভেদ দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ কেহ বলেন যে, সূৰ্য্যবংশীয় অজমীঢ় রাজা সর্বপ্রথমে এই নগর নিৰ্ম্মাণ করেন এবং তাহার নামানুসারে ইহার নাম আজমীর হইয়াছে। আবার কাহারও কাহারও মতে মহাভারতের বনপর্বোল্লিখিত বিদুর রাজারই এই রাজ্য ছিল। পরে কালবশে নানা অবস্থান্তরের মধ্য দিয়া উহা ধ্বংস হইলে ১৪৫ খ্ৰীঃ অঃ অজয় পাল নামক জনৈক চৌহান রাজা উহা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। আজমীরের প্রাচীন ইতিহাস আলোচনা যোগ্য বিবেচনায় আমরা সংক্ষেপে এস্থানে তাহার উল্লেখ করিলাম। আজমীরের চৌহান রাজারা অগ্নিবংশ সস্তৃত, এই বংশের প্রথম নৃপতির নাম অনূহল—হঁহার অপর নাম অগ্নিপাল। ইনি বিক্রমাব্দেরও ৬৫০ বৎসর। তুৰ্কীরা ভারতবর্ষ আক্রমণ করিয়াছিল। অগ্নিপালের মৃত্যুর পর ক্রমশঃ थाम्रैन ऐठिशन ।