পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়পুর। অঙ্কিত আছে বলিয়াই ইহার নাম গণেশপোল হইয়াছে। অন্দরমহলের সৌন্দৰ্য অতুলনীয়। রাজপুত শিল্পিগণের অপূর্ব শিল্পনিপুণতা এখানে বিদ্যমান। নানাবিধ বিচিত্র সৌন্দর্য্যে, ভাস্করের অনিন্দ্যস্বন্দর অলঙ্কারে ইহা অনিন্দ্য সৌন্দৰ্য্যে উদ্ভাসিত। একদিন যে কক্ষগুলি নানাদেশের সুন্দরীগণের কলহাস্যে প্ৰতিধ্বনিত হইত, কত আমোদ কত উল্লাস যেখানে অহরহঃ ক্রীড়া করিত, এখন তাহা নীরব ও ব্যান্ত্রের আবাসস্থল। ষে । মানসিংহের বীরদৰ্পে, যাহার অসির ঝনঝনায় সুদূর কাবুল হইতে পূর্ববঙ্গ পৰ্য্যন্ত কম্পিত হইয়াছিল-সেই মোগলের বীৰ্য্যবিত্তার স্রষ্টা মোগলের। খ্যাতিপ্ৰতিপত্তির মূল মানসিংহের অন্দরমহল কিনা বিজন ও ব্যাম্রাবাসে পরিণত, হায়রে দুৰ্দৈব! মানব কত ক্ষুদ্ৰ তুমি!! কবির ভাষায় মানবের এ অনিত্যতা দেখিয়া বলিতে ইচ্ছা করে,--- “বিধাতা হে আর করো না। সৃজন এমন পৃথিবী, এমন জীবন ; করা যদি প্ৰভু ধরা পুনর্বার মানব সৃজন করো নাক আর ; আর যেন, দেব, না হয় ভুগিতে জীবাত্মার সুখ-না হয় আসিতে, এ দেহ এমন ধারণ করিতে, এরূপ মহীতে কখন আর ।” ( হেমচন্দ্ৰ ) পূর্বে যে সুন্দর উদ্যানের কথা উল্লেখ করিয়াছি, তাহার বামদিকে “দেওয়ান খাস” অবস্থিত-ইহার অপর নাম “জয়মন্দির” । এই ঘরে সৰ্বশুদ্ধ তিনটী কক্ষ, প্রত্যেকটির ছাদ ও ভিতরকার দিকের প্রাচীর মুকুরখণ্ড সংযোগে অতি সুন্দর ভাবে সুশোভিত-উহা দেখিলে মন মুগ্ধ হইয়া যায়। প্রাচীন কারুকার্য্যগুলি এখন বিলুপ্তপ্রায়।

খাসের উপরিস্থিত যশোমন্দির’ দর্শন করিলাম, উহাতে মাত্র দুই

R? Sae