পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vets\-tae লোহিত প্রস্তরের স্তম্ভের উপর গম্বুজওয়ালা প্ৰকোষ্ঠ আছে, দূর হইতে এগুলি বড়ই সুন্দর দেখায়। সেকেন্দ্রার মিনার বা শোভাস্তম্ভও কলিকাতার র্লোনী মনুমেণ্ট হইতে কম উচু নহে। প্রথম তলের সমাধি-হুৰ্ঘ্যের মুখস্থ প্রশস্ত দ্বার দিয়া একটী প্রশস্ত কক্ষে উপনীত হওয়া যায়, কক্ষের পরিস্থ ছাদ গিল্টিকরা, দুঃখের বিষয় যে এখন তাহার প্রাচীন সৌন্দৰ্য্য বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। এই কক্ষ হইতে একটী ক্রমনিম্ন পথে অবতরণ করিলে যে কক্ষে পহুছন যায় ঐখানেই আকবর সমাহিত রহিয়াছেন। এই কক্ষটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৩৫ ফুট \S চতুরস্রাকৃতি-—একটু অন্ধকারইহাতে আলোক তেমন প্ৰবেশ করে না । এস্থানে আসিলে হৃদয়ে কেমন শ্ৰৱণ করিয়া ভক্তিপ্নত চিত্তে নতজানু হইয়া অবনত মস্তকে সমাধির প্ৰতি সম্মান জ্ঞাপন করিলাম। s আগ্ৰা আসিলে প্ৰত্যেকেরই সেকেন্দ্ৰা দৰ্শন করা উচিত। প্ৰকৃত পক্ষেই ইহা হিন্দু ও মুসলমানের মহাতীৰ্থ স্থল। সেকেন্দ্ৰায় আকবরের সমাধি-হুৰ্ম্ম্যের প্রবেশ দ্বারের দক্ষিণদিকের প্রকোষ্ঠে আরও দুইটী সমাধি আছে, একটী আকবরের দুহিতা আরামবান্নার এবং অপরটি জার্তাগীরের কন্যা আকবরের পৌত্রীর। লর্ড নৰ্থব্রুক আকবরের সমাধি আচ্ছাদিত রাখিবার জন্য একখানা বহুমূল্য আবরণ বস্ত্ৰ উপহার দিয়াছিলেন, কিন্তু আমরা উহা দেখিতে পাইলাম না—শুনিলাম উহা অপহৃত হইয়াছে । সেকেন্দ্ৰায় আরও অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ও সমাধি আছে, কিন্তু মহাকালের দারুণ কাষাঘাতে সে সমুদয় সমাধির অবস্থা অতীব শোচনীয়। কোথাও মন্দির ভগ্ন, কোথাও সমাধি-শয্যা চুণীকৃত, চারিদিকে শ্মশানের ধ্বংসের চিহ্ন বিদ্যমান। হৃদয়ে একটা ঔদাস্তের ভাব জাগিয়া উঠিল। মন এক ভীষণ হাহাকারে পূর্ণ হইয়া গেল। অতীতের সহিত বৰ্ত্তমানের ধ্বংসাবশেষের পর্য্যালোচনা করিতে গেলে বলিতে হয়—“নাই নাই কিছু নাই” এখন “ভাঙ্গিতে এ নীরবতা বিল্পী ভয় পায়।” বোলা প্ৰায় এক মৃত্যুর বিভীষিকা ও জগতের নশ্বরতা কিছুক্ষণের জন্য হৃদয়কে গাঢ় রূপে