বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जैित्र्→t ।। অমরা ভরতপুর হইতে ডিগ যাই। ভরতপুর হইতে উহার দূরত্ব প্ৰায় বাইশ তেইশ মাইল হইবে। প্ৰকাণ্ড মাঠ,-—মাঠের মধ্যে কাশ, খড়, প্রভৃতির বিরাট বিস্তার, মধ্য দিয়া পথ। এই প্ৰকাণ্ড মাঠটীিকে ভরতপুর রাজের গোচারণ-মাঠ বলিলেই সঙ্গত হয়, কারণ এখানে রাজার যত গরু, মহিষ প্ৰভৃতি নিরাপদে চরিয়া বেড়ায়, মাঠের মাঝে মাঝে উহাদের থাকিবার জন্য আডডা ঘর আছে, সেখানে উহাদের সেবকগণ পরিচর্য্যা করিয়া থাকে। হরিণের সংখ্যাও প্রচুর, আমাদের গাড়ীর পাশে পাশে অগণন হরিণ চরিয়া ৰেড়াইতেছিল, রাজাজ্ঞায় এখানে কেহ কোনও পশু-শিকার করিতে পারে না, করিলে গুরুতর দণ্ড ভোগ করিতে হয়,-রাজাদেশ প্ৰতিপালিত হইতেছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য মাঝে মাঝে ফাঁড়ী আছে, ফাড়ী হইতে প্ৰহারিগণ সমুদয় স্থানের কাৰ্য্যাবলী পৰ্য্যবেক্ষণ করে। আমরা প্ৰভাতে ভরতপুর হইতে রওয়ানা হইয়াছিলাম, ডিগে পহুছিতে বেলা প্ৰায় ১১টা হইয়াছিল। ডিগ ভরতপুরের অন্তঃৰ্গত একটী ক্ষুদ্র নগর— দেখিবার মধ্যে এখানকার দুর্গই প্রধান। আমরা নগরে পহুছিয়া কিয়ৎকাল বিশ্রাম করিয়াই দুর্গ দেখিতে বাহির হইলাম। ইংরেজাধিকারের পূর্বে এই দুর্গের খ্যাতি ভারতের সর্বত্র ঘোষিত হইত, অনেকেই ইহাকে অজেয় বলিয়া মানিতেন। নগরের চারিদিকে জলাভূমি, কাজেই বৎসরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই ইহা শত্রুর পক্ষে দুৰ্গম থাকে। ডিগ নগর বহু প্ৰাচীন, কারণ পুরাণ ইত্যাদি গ্রন্থেও ইহার নামের উল্লেখ আছে। সর্ব প্ৰথমে ১৭৭৬ খ্রীস্টাব্দে নজাফ খাঁ এই নগর জাঠদিগের নিকট হইতে অধিকার করেন, কিন্তু র্তাহার দেহাবসানের সঙ্গে সঙ্গেই পুনরায় উহা জাঠদিগের অধিকারভুক্ত হয়। ১৮০৪ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরেজরাজের সহিত হোলকারের যুদ্ধ হয়, সেই যুদ্ধে হােলকার পরাজিত হন, হােলকারের সৈন্যেরা পলায়ন করিতে থাকিলে, ইংরেজ সৈন্যগণ তাহদের অনুসরণ করে, অনুসৃত হইয়া হোলকারের বহু সৈন্য ডিগের দুৰ্গে আশ্রয় গ্ৰহণ করিলে, cuatro Cisputa (General واوه