বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফিরিয়া যাইতে লাগিল, আর যাহাঁদের প্রদীপ নিবিয়া ও ডুবিয়া যাইতেছিল, সঙ। তাহারী ভবিষ্যতের একটা বিপদাশঙ্কায় শিহরিয়া উঠিয়া পরস্পরে। মনের দুঃখ প্ৰকাশ করিতে করিতে ঘরে ফিরিয়া যাইতেছিল। এই বিশ্রাম ঘাটের সন্নিকটে যমুনার তীরে একটী মন্দির দেখিলাম, ইহার নাম সতীবুরুজ। কথিত আছে যে মহারাজ কংস কৃষ্ণকর্তৃক নিহত হইলে, তাহার প্ৰিয়তমা মহিষী এই স্থানে বসিয়া পতির সহিত সহগমন করেন। তদবধি ইহার নাম সতীবুর্জ হইয়াছে। কিন্তু সেই সতীকীৰ্ত্তির পরম মহিম মণ্ডিত পুণ্য স্থানের উপর এই উচ্চ স্তন্তু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। স্তম্ভটি ইষ্টক নিৰ্ম্মিত হইলেও গঠন কৌশল সম্পন্ন ও সুদৰ্শন। মথুরার অতি প্ৰাচীন কীৰ্ত্তিগুলির সহিত সমকালে ইহা নিৰ্ম্মিত নহে। প্ৰকৃত ঐতিহাসিক বিবরণ এই যে, ইহা অম্বরাধিপতি মানসিংহের পিতা ভগবান দাসকর্তৃক নিৰ্ম্মিত একটী সুন্দর স্তম্ভ ; তবে ইহা হইতে পারে যে, রাজা ভগবানদাস জনশ্রীতি-বিশ্রাত কংস-মহিষীর দেহত্যাগ-স্থলে এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । রাত্ৰিতে কোনও রূপে উৎসুক ভাবে নিদ্রায় কাটাইয়া পরদিন প্ৰত্যুষে পুনরায় নগর দেখিতে বাহির হইলাম। মথুরার রাজপথগুলি সুপ্ৰশস্ত ও জনাকীর্ণ। রাস্তার উভয় পার্শ্বে প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত উচ্চ অট্টালিকা শ্রেণী নীল আকাশের দিকে মাথা তুলিয়া দণ্ডায়মান। শ্রেণীবদ্ধ পণ্যবীপিকাগুলি শোভা-সম্পদে অতুলনীয়। মথুরার রাজপথগুলিও ৬/কাশীধামের পথের ন্যায় প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ও উচুনীচু। আমরা কিয়দূর অগ্রসর হইলেই সর্বপ্রথমে নগরের মধ্যস্থিত জামে মসজিদটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। ইহা সম্রাটু আওরঙ্গজেবের রাজত্ব সময়ে ১০৭১ হিজরায় হিন্দুকীৰ্ত্তি জামে মসজিদ। সমূহের ধ্বংসাবশেষের উপরে আবুদুন্নবি খাঁ নামক জনৈক বিখ্যাত মুসলমান কাজী কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। নগরের একপ্ৰান্তে আর একটা ক্ষুদ্র মসজিদ দেখিতে পাওয়া যায় ইহা মনোহরপুরের সম্রাট মহম্মদ শাহার রাজত্ব কালে নিৰ্ম্মিত হয়। জামে মসজিদটির চারিটি মিনার বা স্তম্ভ দূর হইতেই হিন্দু নগরের মধ্যে ইহার বিশেষত্ব ও স্বাতন্ত্র্য প্ৰকাশ করিয়া দেয়। প্রত্যেক মিনারটি ১৩০ ফুট উচ্চ। ১৮০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে . . . . . . |- " . مس" . . . . . . ,