বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

குே-ருஎஸ் প্ৰান্তর সেই যুদ্ধ ক্ষেত্রের লীলাভূমি। কেবল সেই যুদ্ধ কেন—মহাভারতের ষে মহাযুদ্ধের কথা পৃথিবীব্যাপ্ত,-এই প্ৰান্তর সেই যুদ্ধেরও লীলাভূমি । এই প্ৰান্তরে দাড়াইয়াই অষ্টাদশ অক্ষৌহিনী সেনা লইয়া গান্ধার হইতে কাম্বোজ এবং প্ৰাগজ্যোতিষপুর হইতে সিন্ধু—সমস্ত আৰ্য্যাবৰ্ত্তের ক্ষত্ৰিয় বীরগণ এইখানে অষ্টাদশদিনব্যাপী যুদ্ধে ধ্বংস লাভ করেন । এই খানেই ভগবান কৃষ্ণের মন্ত্রণাবলে আৰ্য্যাবৰ্ত্তের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ক্ষত্ৰিয় রাজ্যগুলির স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হইয়া মহারাজ যুধিষ্ঠিরের “মহাভারত’, রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, আর এই প্ৰান্তরেই পরম পুণ্যময়ী সরস্বতী তীরে স্বয়ং ব্ৰহ্মা যজ্ঞবেদী স্থাপন করিয়া আৰ্য যজ্ঞানুষ্ঠানের প্রথম প্ৰবৰ্ত্তন করেন, তদবধি ইহা “ব্ৰহ্মবেদী” নামে পরম পুণ্যময় স্থানরূপে কীৰ্ত্তিত হইয়া আসিতেছে। ব্ৰহ্মযজ্ঞ স্থানের ইহাই উত্তরবেদী। বৈদিককালের স্মৃতির মহিমা অনুভব করিতে করিতে আমরা নগরের দক্ষিণভাগে এক বিপুল হ্রদতীরে উপনীত হইলাম। এই হ্রদটির পূর্বায়তন নাই, অনেক ভরাট হইয়া গিয়াছে। qEDDD SBDBBS SBDBLD MBB DDBD BB D DB DDDS BKDSS S M দ্বীপটিই মহাভারতোক্ত দ্বৈপায়ন হ্রদ। নাম শুনিবা মাত্র দুৰ্য্যোধনের উরুভঙ্গ-কাহিনী স্মরণ পথে উদিত হইল। মহাভারতোক্ত শোভা অবশ্য আর এখন ইহার নাই । আমরা তাহা দেখিব বলিয়া আশা করি নাই, কারণ সে শত সহস্ৰ বর্ষের পূর্বের অতীতসৌন্দৰ্য্য পৃথিবীর লক্ষলক্ষ পরিবর্তনেও অক্ষুঞ্জ থাকিয়া যে আজিও দর্শককে আপ্যায়িত করিবে, ইহা অসম্ভব । শুনিলাম হ্রদটির আকার এখনকার আকার অপেক্ষা দ্বিগুণ বৃহৎ ছিল । হ্রদের চতুর্দিকেই বান্ধাঘাট । ঘাটের বহু নাম আছে। যে ঘাটের নিকট ব্ৰহ্মার যজ্ঞকুণ্ড স্থাপিত হইয়াছিল, তাহা ‘ব্ৰহ্মঘাট” নামে খ্যাত ৷ প্ৰতি ঘাটে বহু দেবালয়ের ভগ্নাবশেষ স্তুপীকৃত হইয়াছে। তন্মধ্যে যেগুলি অভগ্ন তাহা খুব বেশী দিনের প্রাচীন নহে। এমন কি কোনটি দিল্লীর কোন প্রাচীন অট্টালিকার সম সাময়িক নহে। অধিকাংশ মন্দিরই অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে নিৰ্ম্মিত। ঘুরিয়া আসিতে আমরা একটা ঘাটে উপনীত হইলাম। এই ঘাটের নাম “বিশ্রাম ঘাট”। ভারত যুদ্ধের দৈনন্দিন অবসানে অৰ্জ্জুন ও কৃষ্ণ এই ঘাটে বসিয়া

  • ළ6 ශ. 鸭

দ্বৈপায়ন হ্রদ।