বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ystrica সৰ্বকাল সেই স্থানে আমার বসতি । প্ৰতিদিন আমার ভোজন হয় তথি ৷ সে স্থানের প্রভাবে যোজন দশ ভূমি। " তাহাতে বসয়ে যত জন্তু কীট কৃমি ৷ সবারে দেখয়ে চতুৰ্ভাজ দেবগণ । মরণ মঙ্গল করি কহি যে সে স্থান ৷ নিদ্রায় যে স্থানে সমাধির ফল হয়। শয়নে প্ৰণাম ফল যথা বেদে কয় ৷ ৷ প্ৰদক্ষিণ ফল পায় করিলে ভ্ৰমণ। কথা মাত্র যথা হয়। আমার স্তবনা ৷ হেন সে ক্ষেত্রের অতি প্ৰভাব নিৰ্ম্মল । মৎস্য খাইলেও পায় হবিয্যের ফল ৷ নিজ নামে স্থান মোর হেন প্ৰিয়তম । তাহাতে যতেক বৈসে সে আমার সম ৷৷ সেখানে নাহিক যম দণ্ড অধিকার । আমি করি ভাল মন্দ বিচার সবার ৷ (5. डा. अरुgथ९७ २.) পরদিন প্ৰত্যুষে নবপ্রভাতের নবীন রাঙা রবি যখন লোহিত-কিরণসম্পাতে চতুর্দিক হাস্যময় করিয়া পূর্ব গগনে উদিত হইয়াছিলেন, তখন আমরাও অগণ্য যাত্রীর সহিত শ্ৰীমন্দিরাভিমুখে অগ্রসর হইলাম। গলি ছাড়িয়া রখের সুপ্ৰশস্ত রাস্তায় পহুছিয়া অদূরস্থিত মন্দিরের উচ্চ ধ্বজ দেখিয়া প্ৰাণ জুড়াইল! মনে পড়িল গোবিন্দদাসের “ধ্বজা দেখি মহাপ্ৰভু পড়িল ধরায়”। এই রাস্তাটি অতিশয় প্ৰশস্ত, কারণ এখান দিয়াই রথের সময় রথ টানা হয়। কত ভক্ত তীর্থযাত্রী দূর হইতেই মন্দিরের চুড়া দেখিতে পাইয়া আনন্দে , ধূলায় লুটাইয়া পড়িতেছে। পুরুষ রমণী কত তীর্থ যাত্রী রাজপথ প্ৰতিধ্বনিত করিয়া জগন্নাথ দেবের মহিমা কীৰ্ত্তন। ১৯াকরিতেছে। কি নিবিড় আনন্দ! কি প্রাণারাম অপূৰ্ব শ্ৰীতির উচ্ছসি! আমরা ক্রমে জগন্নাথ দেবের মন্দির সমীপে উপনীত হইলাম। ষে স্থানে মন্দির