পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরুপ। জ্ঞা চনং নাম ক্ষেত্রপালং যমেশ্বরম। : মার্কণ্ডেয়ং তথেশানং বিশ্বেশং নীলকণ্ঠকম৷ , বটমূলে বটেশঞ্চ লিঙ্গানষ্টে মহেশতু ” কপাল মোচন, ক্ষেত্ৰপাল, যমেশ্বর, মার্কণ্ডেয়, ঈশান, বিশ্বেশ্বর, বটেশ্বর ও নীলকণ্ঠ মহেশ্বের এই অষ্টলিঙ্গ মূৰ্ত্তি শ্ৰীক্ষেত্ৰধামে বিরাজমান। ফিরিবার । সময় পথে গুণ্ডিচ বাড়ী দর্শন করিলাম,—ইন্দ্ৰদ্যুম্বের পাটরাণী গুণ্ডিচ দেবীর নামানুসারেই এই বাড়ীর নাম হইয়াছে। নারদপুরাণ, ব্ৰহ্ম পুরাণ প্ৰভৃতি প্ৰাচীন পৌরাণিক গ্রন্থে ও গুণ্ডিচা বাড়ীর উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু পুরাতত্ত্ববিদগণ ইহাকে খুব বেশী প্ৰাচীন বলিয়া স্বীকার করেন না । সাধারণ অনুসন্ধিৎসু দর্শকগণ ও প্রত্নতত্ত্ববিদগণের এমত একেবারে উপেক্ষা করিতে পারেন না, কারণ ইহা দৃষ্টে কিছুতেই সমধিক প্রাচীন বলিয়া উপলব্ধি হয় না। এই বাড়ী বা মন্দিরের নিৰ্ম্মাণ প্ৰাণালী প্ৰায় শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মন্দিরের অনুরূপ। ইহার প্রাঙ্গণ শ্ৰীমন্দিরের প্রাঙ্গণ অপেক্ষা অনেক ছোট । ভোগ প্ৰস্তুতের গৃহ ভিন্ন আর সমুদয়ই ইষ্টক নিৰ্ম্মিত। গুণ্ডিচা মন্দিরের চতুর্দিকে ৫ ফিটু বিস্তৃত এবং ২০ ফিট্ৰ উচ্চ প্রাচীর আছে। প্রাঙ্গণ দৈর্ঘ্যে ৪৩২ ফিটু ও প্ৰস্থে ৩২১ কিটু। প্রাচীরের পশ্চিমদিকে সিংহদ্বার, উত্তরদিকে বিজয়দ্বার ও মধ্যভাগে দেবাগার অবস্থিত। এই দে বাগার চারিভাগে বিভক্ত । মূলমন্দির, মোহন, নাটমন্দির ও ভোগমণ্ডপ । দেউল বা মূলমন্দির দৈর্ঘ্যে ৫৫ ফিট, প্ৰস্থে ৪৬ ফিট ; মোহন দৈর্ঘ্যে ৪৮ ফিট ও ৪২ ফিট নাটমন্দির দৈর্ঘ্যে ৪৮ ফিট ও প্রস্থে ৪৫ ফিট এবং ভোগ মণ্ডপ দৈর্ঘ্যে ৫৯ ফিট ও প্রস্থে ২৬ ফিট । মূলমন্দির উচ্চে ৭৫ ফিট ; ইহার মধ্যে কৃষ্ণ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ১৯ ফিট দীর্ঘ এবং তিন ফিট উচ্চ এক রত্নবেদী আছে, রথের সময় শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেব এ স্থানে আসিয়া সাত দিবস অবস্থান করেন। দারুজহ্ম, মূৰ্ত্তিকে এখানে আনিবার সময় সিংহদ্বারা দিয়া আনয়ন করা হয় এবং মূলমন্দিরে লইয়া যাওয়ার সময় বিজয়দ্বারা দিয়া নেওয়া হয়। কথিত আছে ষে বিশ্বকৰ্ম্ম সৰ্ব্ব প্রথমে এ স্থানেই ঐশ্ৰীজগন্নাথদেবের ওঁকার মূৰ্ত্তি vesfets at