পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tাসিয়াছি তখনি প্রতি তরঙ্গ-উচ্ছাসে মনে হইয়াছে :- “হে আদি জননি, সিন্ধু, বসুন্ধর সন্তান তোমার, । একমাত্ৰ কন্যা তব কোলে । তাই তন্দ্ৰা নাহি আর চক্ষে তব, তাই বক্ষ জুড়ি সদা শঙ্কা, সদা আশা, গ সদা আন্দোলন, তাই উঠে বেদমন্ত্র সমভাষা । নিরন্তর প্রশান্ত অম্বরে, মহেন্দ্র মন্দির পানে অন্তরের অনন্ত প্রার্থনা, নিয়ত মঙ্গল গানে ধ্বনিত করিয়া দিশি দিশি, তাই ঘুমন্ত পৃথীরে অসংখ্য চুম্বন কর, আলিঙ্গনে সৰ্ব্ব অঙ্গ ঘিরে তরঙ্গ বন্ধনে বঁধি, নীলাম্বর অঞ্চলে তোমার সযত্বে বেষ্টিয়া ধরি’ সন্তপণে দেহখানি তার সুকোমল সুকৌশলে ।” ফেনিল-কল্লোল-ময় সমুদ্র তরঙ্গমধ্যে কি যেন কি আছে যাহাতে হৃদয় বিভোর হইয়া যায়। প্ৰকৃতির অনন্ত সৌন্দৰ্য্যের অব্যক্ত মহিমা সাগরতীরে যেমন পরিস্ফুট এমন কি কোথাও দেখিয়াছ ? একদিকে অনন্ত সমুদ্র ও অসীম নীলাকাশের প্রাণের মিলন বড় সুগভীর নিবিড় আনন্দময় সোহাগ চুম্বন, অন্যদিকে সিকতাময় বেলাভূমি উজ্জ্বল তপনালোকে সহস্ৰ সহস্ৰ মণি মুক্তার মত কাক কাক করিয়া জ্বলিতেছে! সমুদ্রের মত সুন্দর আর মহান বুকি জগতে কিছুই নাই, জানিনা। সমুদ্রের তীর ত্যাগ করিতে সকল সময়েই কেন একটা বিষাদের ভাব আসিয়া হৃদয় ছাইয়া ফেলিয়াছে তাই বিদায়ের “হৃদয় করেছ চুরি ওই নীল নীরে, । শূন্য দেহ ল’য়ে সিন্ধু! গৃহে যাই ফিরে । সুত । বালগণ্ডিনালার ধারে যে সরোবরটি দেখিলাম, ইহাকেই চক্ৰতীর্থ কহে। জনপ্ৰবাদ এই চক্রতীর্থের ধারেই সর্বপ্রথমে জন্মদারু ভাসিয়া আসিয়াছিল । তে পারে ? নৈসর্গ-প্রেমিক কবির এ সমুদ্র-সঙ্গীত যখনই সমুদ্রের তীরে . . . . . - V