বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর বা একামিকানন। একামিকাননের অপর নাম “গুপ্তকাশী” । হিন্দুমাত্রেরই এই হিন্দুকীৰ্ত্তির আদর্শস্থান দর্শন করা একান্ত প্ৰয়োজন । মহাত্মা শ্ৰীচৈতন্যদেব যখন শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবকে দর্শনের জন্য শ্ৰীক্ষেত্রে গমন করিয়াছিলেন তখন তিনিও ভুবনেশ্বর বা গুপ্তকাশী দর্শন করিয়াছিলেন। তঁহার প্ৰিয়তম ভক্ত বৃন্দাবন দাস লিখিয়াছেন,- “তবে মহাপ্ৰভু আইলেন শ্ৰীভুবনেশ্বর। গুপ্ত কাশীবাস যথা করেন শঙ্কর ৷ সৰ্ব্বতীর্থ জল যথা বিন্দু বিন্দু আনি। বিন্দু সরোবরে শিব সৃজিল আপনি ৷” তীর্থের জন্যই হউক কি প্রাচীন হিন্দুকীৰ্ত্তির নিদর্শন বলিয়াই হউক। প্ৰত্যেকেরই একবার সুবিধামত এই মনোরম স্থান দর্শন করা কীৰ্ত্তব্য। ভুবনেশ্বর ওড়িষ্যার অতুল কীৰ্ত্তিময় স্থান। যিনি ওড়িষ্যা গমন করিয়া এই সুন্দর শান্তিময় স্থান দর্শন করেন নাই তাহার নিশ্চয়ই দুর্ভাগ্য বলিতে হইবে। ভুবনেশ্বর শিবধাম, কাজেই এ স্থানে এক বৈতাল মন্দির ব্যতীত অন্য কোথাও শক্তি-চিহ্ন নাই। ওড়িষ্যায়—যাজপুর পাৰ্বতীধাম,— ভুবনেশ্বরে শিবধাম, পুরীতে বিষ্ণুধাম, মহাবিনায়ক পৰ্বতে গণেশ ধাম এবং কনারকে সূৰ্য্যধাম, -এই কয়েকটি স্থানই উৎকলের মহাতীর্থ।--ভুবনেশ্বরে একটী ছোট পাঠশালা ও পোষ্টাফিস আছে —কোনও চিকিৎসালয় দেখিলাম না। ;--এইরূপ একটা প্ৰধান তীর্থস্থান, যেখানে প্ৰতি বৎসর লক্ষ লক্ষ যাত্রী সমাগম হয় সে স্থানে গভৰ্মেণ্টের একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করা কীৰ্ত্তব্য । এস্থানে প্ৰায় ৩৪ শত ঘর পাণ্ড আছে । আমাদের । ভুবনেশ্বর সম্বন্ধে আর একটী কথা বলা আবশ্যক। তীৰ্থস্থলে অনেকেই আহাৰ্য্য সামগ্ৰী সম্পর্কে বড়ই উদাসীন হইয়া পড়েন, আমরা ইহা একান্ত চুম্বনেশ্বরের প্রদান অন্যায় বিবেচনা করি,--- অন্ধ ধৰ্ম্মবিশ্বাসের সহিত স্বাস্থ্যের * খাদ্য দ্রব্যাদি ৷ প্ৰতি বিশেষ মনোযোগ থাকা আবশ্যক। শরীর রক্ষা করাই সকল ধৰ্ম্মের সার । এই জন্যই শাস্ত্রকারের লিখিয়াছেন “শারীর মাদ্যং খলুধৰ্ম্ম সাধনম৷” দেখিয়াছি যে শরীরের অনাবশ্যক তাচ্ছিল্যে এবং কদৰ্য্য ভক্ষণে বহুলোক তীর্থস্থলে পীড়িত হইয়া পড়েন, বিদেশে এইরূপ VS 8ع