পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

62 গোদাবরী ষ্টেসনের পশ্চিমেই গােদাবরী নদী সপ্তধারার সহিত সাগরসঙ্গমে বহিয়া চলিয়াছেন । নদীর উপরে সুবৃহৎ পুল আছে। গোদাবরী বৈদিক কালের পুণ্য নদী। ইহার অপর নাম গৌতমী গঙ্গা। নাসিক জেলার ত্ৰ্যম্বক নামক গ্রামের পশ্চাদবর্তী পর্বত হইতে গোদাবরীর উৎপত্তি হইয়াছে। এই নদী পূর্ব ঘাট হইতে পশ্চিম ঘাট পৰ্যন্ত ৯০০ মাইল বিস্তৃত। গোদাবরীর তীরবর্তী স্থান সমূহের শোভা মনোহারিণী। ইহার জলের পবিত্রতা ও উপকারিতা চির প্রসিদ্ধ। গোদাবরী তুল্য, আত্ৰেয়ী, ভারদ্বাজী, গৌতমী, বুদ্ধগৌতমী, কৌশিকী, ও বশিষ্ঠ এই সপ্তশাখায় বিভক্ত। ধাবলেশ্বর নামক স্থানে গোদাবরী এই সপ্তধারায় মিলিত হইয়াছেন। সহর হইতে ইহা প্রায় দশ বার মাইল দূরে অবস্থিত। আমরা ১৩ই শ্রাবণ প্ৰত্যুষে রওয়ানা হইয়া বেলা আট ঘটিকার সময় এস্থানে : - উপস্থিত হইলাম । গোদাবরী সপ্তধারায় মিলিত হইয়াছেন বলিয়া ইহার নাম সপ্ত-গোদাবরী-সঙ্গম। ধন্বলেশ্বর একটিী ছোট পাহাড়। আশীটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত সিঁড়ি পার হইলে এই নিৰ্জন গিরিশেখরস্থ একটা মন্দিরে পহুছা যায়, এই মন্দিরে লক্ষনী-জনাৰ্দন মুক্তি বিরাজমান। পাহাড়ের উপর হইতে চতুর্দিকস্থ সৌন্দৰ্য গ্ৰীতিপদ । সূৰ্য্যকার-প্রদীপ্ত গভীর-অরণ্যানীর সবুজ-সুন্দর দৃশ্য আমাদিগের চিত্ত মুগ্ধ করিয়াছিল। বেলা নয় ঘটিকার সময় ধাবলেশ্বর দর্শনান্তে রওয়ানা হইয়া বেলা ১১ এগারটার সময় সহরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলাম। রাজমহিন্দী ও গোদাবরী এক। রাজমাহিন্দ্ৰী নগরের মধ্যস্থলেই গোদাবরী ষ্টেসন স্থাপিত—ইহা একটা ফ্লেগ ষ্টেসন। যাহারা রাজমহিন্দ্রী দর্শনাভিলাষী। তাহদের গোদাবরীর টিকেট করাই উচিত। রাজমাহিন্দ্রী ষ্টেসন সহর হইতে দুই মাইল দূরে অবস্থিত। গোদাবরীর ******" তীরবর্তী অট্টালিকা সমূহ রাজমহিন্দ্রীর একটি দ্রষ্টব্য পদার্থ। প্রাচীন পুরাতত্ত্বের জন্যও ইহা প্ৰসিদ্ধ। গােদাবরী নদীর ধাবলেশ্বর । ৫২৬