পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stay-use তখন সেতুপতিগণ তাহা দেখিয়াই বােধ হয় রামেশ্বরের মন্দিরস্থ বৃহৎ বারাণ্ডা, মণ্ডপ ও প্রাকার ইত্যাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। মন্দিরের কারুকাৰ্য্যাদি দর্শনে মনে হয় যে অন্ততঃ পঞ্চাশ বৎসরকাল ইহার গঠন কাৰ্য্যে ব্যয়িত হইয়াছিল। এ স্থানের প্রধান মন্দির ব্যতীত আরও ২৪টীি তীর্থ দৰ্শন করিতে হয়, আমরা এ স্থানে সংক্ষেপে অনুসন্ধিৎসু পাঠকবর্গের নিকট তাহদের বিষয় বিবৃত করিলাম। (১) চক্ৰতীর্থ (২) বেতাল বরদতীর্থ (৩) পাপ বিনাশনতীৰ্থ (৪) সীতােশরতীৰ্থ (৫) মঙ্গলতীৰ্থ (৬) অমৃতব্যাপিকা (৭) ব্ৰহ্মকুণ্ড (৮)। হনুমৎকুণ্ড (৯) অগস্ত্যতীর্থ (১০) শ্ৰীরামতীর্থ (১১) শ্ৰীলক্ষণতীর্থ (১২) জটাতীর্থ (১৩) শ্ৰীলক্ষনীতীর্থ (১৪) অগ্নিতীর্থ (১৫) শ্ৰীশিবতীর্থ (১৬) শঙ্খতীর্থ ( ১৭ )। যমুনাতীর্থ (১৮) গঙ্গাতীর্থ (১৯) গয়াতীর্থ (২০ ১ কোটিতীর্থ (২১) সাধ্যামৃততীর্থ ( ২২ ) মানসাখ্যসর্বতীর্থ ( ২৩ ) ধনুষ্কোটিতীর্থ। এতদ্ব্যতীত ঋণমোচনতীর্থ, পাণ্ডবতীর্থ, দেবতীর্থ, সুগ্ৰীবতীর্থ, নলতীৰ্থ, গবাক্ষতীর্থ, অঙ্গদতীর্থ, গজ-গািবয়-শরভকুমুদতীর্থ, বিভীষণতীর্থ, ব্ৰহ্মহত্যা বিমোচনতীর্থ, নাগবিলতীৰ্থ প্রভৃতি বহু তীর্থ বিদ্যমান আছে এবং প্রত্যেক স্থানেই দেবমূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠাপিত আছেন। প্ৰত্যেক তীর্থেই সুন্নান করিবার নিয়ম, আমরা প্ৰতি তীর্থে সুান করিতে করিতে ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলাম। ১ । চক্ৰতীর্থ—আহিবুব্ধ নামক ঋষি গন্ধমাদনস্থ মুনিকুণ্ডে সুদৰ্শন দেবের তপস্যা করিতেন, রাক্ষসেরা মুনির তপোবিস্ত্ৰ জন্মায়, তাহাতে সুদৰ্শন দেব ভক্তের রক্ষাৰ্থ আগমন করিয়া রাক্ষসদিগকে বধ করেন। অহিবুপ্নের প্রার্থনায় বিষ্ণুচক্র এ স্থানে অবস্থিত আছে বলিয়া ইহার নাম চক্ৰতীর্থ। মুনিতীৰ্থ নামেও ইহা অভিহিত হইয়া থাকে। এই স্থানে স্নান করিলে নরগণ সর্ববিধ ব্যাধি হইতে মুক্তি লাভ করিয়া থাকে, এমন কি অন্ধ, মুর্থ বধির, কুজ, খঞ্জ প্রভৃতি বিকৃতাঙ্গ মনুষ্যেরাও সংকল্প করিয়া স্নান করিলে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্ত হয়। ২। বেতালবরদতীর্থ— চক্রতীর্থের দক্ষিণে সমুদ্রতীরে এই তীর্থ অবস্থিত। এস্থানে সংকল্প পূর্বক অবগাহন করিলে নরগণ জীবন্মুক্ত হয়, যথা :- ?