বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ ইমারতের গুম্বজ অপেক্ষা অধিক উচ্চ । রোমের প্যাস্থিয়ন, ফ্লোরেন্সের ডুওমো, সেণ্টপীটার্স ইত্যাদি সমুদয় জগদ্বিখ্যাত ইমারতের গুম্বজ অপেক্ষা । ইহার উচ্চতা অধিক । এই সমাধি মন্দিরের গুম্বজের বাহিরের ব্যাস ১৪২ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং ভূমি হইতে ইহার বাহিরের সর্বোচ্চ বিন্দু ১৯৮ ফুট উচ্চ। যে চতুষ্কোণ প্রাকারের উপরে ইহা স্থাপিত, তাহারু প্ৰত্যেক পার্শ্ব ১৩৫ ফুট দীর্ঘ। এই সমাধি মন্দিরস্থ উপাংশু কথন মঞ্চ বা প্ৰতিধ্বনি গ্যালারি (Whispering Gallery) is ty, sists (is airs (tet's rite, ইয়ুরোপেও কেবল এক রোমনগরের সেণ্টপীটার্স ক্যাখীড়েল এবং লণ্ডনস্থ সেণ্টপল ক্যাথিড়েল ব্যতীত আর কোথাও নাই। এই মঞ্চের এক সীমায় অতি ধীরস্বরে কথা কহিলে তাহার ঠিক বিপরীত দিকে ১২০ ফুট দূরে সেই কথাগুলি অতি উচ্চৈস্বরে উচ্চারিত হইতে শুনা যায়। এই ইমারতের বাহিরের চারিকোণে চারিটীি গবাক্ষময় মিনার। ইহাদের কোন একটার সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিলে নিম্নস্থ দৃশ্য ছবির ন্যায় প্রতীয়মান হয়। দক্ষিণদিক দিয়া প্ৰবেশ করিয়া সুলতান মাহমুদের, তঁহার মহিষীর এবং পুত্রদের সমাধি প্রস্তর গুলি দর্শন করিলাম, দ্বারের নিকটস্থ একটী প্রস্তর ফলকে পারস্যভাষায় সুলতান মাহমুদের স্বৰ্গারোহণের তারিখ লিখিত আছে, তিনি ১০৬৭ অর্থাৎ ১৬৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দে পরলোক গমন করিয়াছেন। দ্বারের উপরিভাগে লৌহশূঙ্খলের সহিত একটী প্ৰকাণ্ড প্রস্তর খণ্ড লম্বমান, সাধারণলোকে বলিয়া থাকে যে বীজ বিদ্যুতের প্রকোপ হইতে রক্ষা করিবার জন্যই ইহা রক্ষিত হইয়াছে । t এই স্থানে মালিক-ই-ময়দান অর্থাৎ (যুদ্ধক্ষেত্রের অধিপতি) নামক একটা তোপ দর্শন করিলাম। পৃথিবীর মধ্যে ইহাই সর্বাপেক্ষা বৃহৎ তোপ। এই তোপটী আহমদনগরে প্রস্তুত হয়। ইহার নিৰ্ম্মাণ কৰ্ত্তা মহম্মদ রূমি খাঁ । কথিত আছে যে তোপ নিৰ্ম্মাণ শেষ হইলে নিৰ্ম্মাতা স্বকীয় তনয়ের উষ্ণ শোণিত দ্বারা ইহা অভিষিক্ত করিয়াছিলেন। এখনও ইহা স্থানীয় হিন্দু অধিবাসিগণ কর্তৃক পূজিত হইয়া থাকে। হুসেন নামক নিজামীসাহী রাজা বিজাপুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে আইসেন, তিনি যুদ্ধে পরাজিত হইয়া পলায়ন কালে এই তোপটী ফেলিয়া যাইতে বাধ্য হন। Sev