পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अवरुवौ दा. छैङञ्जग्निनो প্ৰাণ বঁাচাইলাম। বড় মন্দিরের প্রধান দ্বার সর্বদাই রুদ্ধ থাকে, উহার সম্মুখে একটা সুদীর্ঘ ও সুপ্ৰশস্ত বারান্দা, বারান্দার অনতিদূরে প্রাচীন একটী জলাশয়, এই জলাশয়ের চতুর্দিকেই পাষাণ বিনিৰ্ম্মিত সোপাণিশ্রেণী বিরাজিত। মন্দিরের সম্মুখস্থ প্ৰধান দ্বারের অগ্রভাগে একটা অতি প্ৰকাণ্ড ঘণ্টা দোদুল্যমান, যাত্ৰিগণ মহাকালের অৰ্চনান্তর ফিরিবার সময়ে প্রত্যেকেই এক এক বার ঘণ্টায় আঘাত করিতেছে, ঘণ্টার সেই ঢন ঢনা ঢন রবে চতুদিক প্ৰতিধ্বনিত হইতেছে। আমাদের নিকট এই দেব-মন্দির তিন শত বৎসরের অধিক প্রাচীন বলিয়া বোধ হইল না। বোধ হয় মুসলমানগণের আক্রমণ সময় হইতেই শিবলিঙ্গ এইরূপ প্ৰচ্ছন্ন ভাবে রক্ষিত হইয়া আসিতেছে। কারণ সুরঙ্গাভ্যন্তরস্থ মন্দিরটিকে আমাদের নিকট অত্যন্ত প্ৰাচীন বলিয়া বোধ হয়। বাহিরের মন্দিরটীি বহু প্ৰাচীন নহে, মহাকাললিঙ্গ প্ৰাচীন, কিন্তু তাহার মন্দির বহুকালের প্রাচীন বলিয়া মনে ई कां । কেদারেশ্বর-আমর মহাকালের মন্দির হইতে কেদারেশ্বর দর্শনার্থ গমন করিলাম। একটী ক্ষুদ্র মন্দিরে কেদারেশ্বর প্রতিষ্ঠিত আছেন। অবস্তীখণ্ডের মতে এই শিবলিঙ্গ দর্শন করিলে অক্ষয় পুণ্যলাভ হইয়া থাকে । , এই লিঙ্গের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটি উপাখ্যান প্ৰচলিত আছে যে কোনও এক সময়ে হিমালয়বাসী ব্যক্তিগণ অসহ্য হিম সহ্য করিতে অক্ষম হইয়া দেবাদিদেব মহাদেবের নিকট তৎ প্ৰতিকার প্রার্থী হন ; মহাদেব তাহদের দুঃখে দয়ার্ড হৃদয় হইয়া হিমালয় পর্বতকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করেন, তদুত্তরে হিমগিরি উত্তর করিলেন যে “যদি আপনি আমার শিখরদেশে আসিয়া বাস করেন, তবে আমি চিরকাল আপনার অৰ্চনা করিয়া ধন্য হইব। এবং বৎসর মধ্যে আট মাস কাল আমার হিমের প্রভাব হ্রাস করিব।” ভোলা মহেশ্বর ভক্তবৃন্দের ক্লেশ হ্রাস করিবার নিমিত্ত হিমালয়ের প্রস্তাবে | সম্মত হইলেন এবং গিরিরাজের একটি উচ্চ শেখরস্থ কুণ্ডে বাস করিতে এ স্থানে যোগী, ঋষি ও সাধু মোহন্তগণ কেদারেশ্বর নামে তঁহাকে رسانا |