মরণের ডঙ্কা বাজে
একখানা ওষুধের দোকান খুলবার সম্বন্ধে জল্পনাকল্পনা করলে। বিমল হাজার খানেক টাকা এখন ঢালতে প্রস্তুত আছে। সুরেশ্বর নিজেদের ফার্ম্মকে বলে ওষুধের যােগাড় করবে।
বড় ডাকঘরের ক্লক টাওয়ারে ঢং ঢং করে রাত এগারােটা বাজলো। হােটেলের চাকর এসে দু’জনের খাবার দিয়ে গেল। শিখের হােটেল, মােটা মােটা সুস্বাদু রুটী ও মাংস, আস্ত মাসকলায়ের ডাল ও আলুর তরকারী এই আহার্য্য। সারাদিনের ক্লান্তির পরে তা' অমৃতের মত লাগলো ওদের।
আহারাদি সেরে সুরেশ্বর শােবার যােগাড় করতে যাচ্চে, এমন সময় বিমল হঠাৎ উঠে দরজার কাছে গিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে দেখলে।
সুরেশ্বর বল্লে– কি?
বিমল ফিরে এসে বিছানায় বসলো। বল্লে— আমার ঠিক মনে হলাে কে একজন জানালাটার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। কাউকে দেখলুম না কিন্তু—
সুরেশ্বরের কি রকম সন্দেহ হােলাে। বিদেশ বিভূঁই জায়গা, নানারকম বিপদের আশঙ্কা এখানে পদে পদে। সে বল্লে সাবধান থাকাই ভাল। দরজা বেশ বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে পড়। রাতও হয়েচে অনেক।
সন্দিগ্ধ মন নিয়ে সুরেশ্বরের ঘুম ছিল সজাগ। তাই অনেক রাত্রে একটা কিসের শব্দে ঘুম ভেঙে বিছানার ওপর উঠে বসলো।
বিছানার শিয়রের দিকে জানালাটা খােলা ছিল। বিছানা ও জানালার মধ্যে একটা ছােট টেবিল। টেবিলের দিকে নজর পড়াতে