পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারি প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ NIRVOND গীতা পুনর্বার অন্যপ্রকার সাধনের কথা বলিতেছেন ;- “ব্ৰহ্মাগ্নাবপরে যজ্ঞং যজ্ঞেনৈবোপজুহ্বতি ॥” কোন কোন ব্যক্তি ব্ৰহ্মরূপ অগ্নিতে ব্ৰহ্মাৰ্পণরূপ যজ্ঞ যজিন করেন। ভগবান মনু। ২৪ শ্লোকে তৎতুল্যাৰ্থ বচন লিখিয়াছেন ;- “জ্ঞানে নৈব্যাপারেবিপ্ৰ যজন্ত্যেতৈৰ্ম্মখৈঃ সদা । জ্ঞানমূলাং ক্রিয়ামেষাং পশ্যন্ত্যে জ্ঞানচক্ষুষা ||” কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের প্রতি যে যজ্ঞ, শাস্ত্ৰে বিহিত আছে, তাহা ব্ৰহ্মজ্ঞানের দ্বারা নিষ্পন্ন করেন। তঁহারা জ্ঞানচক্ষুদ্বারা অর্থাৎ উপনিষদের দ্বারা জানিতেছেন যে, পঞ্চ যজ্ঞাদি সকল ব্ৰহ্মাত্মক হন । ইহার উপসংহারে ভগবান কল্পকভট্ট লেখেন যে, “শ্লোকত্ৰয়েণ ব্ৰহ্মনিষ্ঠানাং বেদসংন্যাসিনাং গৃহস্থানামৰ্মী বিধয়ঃ ।” বেদোক্ত কৰ্ম্মানুষ্ঠানত্যাগী অথচ ব্ৰহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থদের প্রতি এই সকল বিধি প্ৰদত্ত হইল । জ্ঞানপ্ৰতিপত্তির নিমিত্ত নানাবিধ সাধনের কথা বলিলেন । ইহার প্রত্যেক প্রকার সাধনেই উত্তম, মধ্যম ও কনিষ্ঠ এই তিন প্ৰকার সাধক আছেন । বৈষ্ণবশাস্ত্রে ও নানাপ্রকার মোক্ষেপায় সাধনের কথা আছে । শ্ৰীভাগবতে, একাদশ স্কন্ধে, উনত্রিংশ অধ্যায়ে, ১৯ শ্লোকের তাৎপৰ্য্য এই যে, সর্বত্র ঈশ্বর ব্যাপ্ত আছেন, এইরূপ চিন্তাদ্বারা যে জ্ঞান প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, তাহা হইতে সকল জগৎ ব্ৰহ্মাত্ম বোধ হয় । অতএব, যখন সৰ্ব্বত্র ব্ৰহ্মদৃষ্টিরূপ জ্ঞানের স্থিরত্ব হইল, তখন সংশয়হীন হইয়া ক্রিয়ামাত্র হইতে নিবৃত্ত হইবে। যদ্যপিও মোক্ষসাধনের নানা উপায় আছে, কিন্তু মন, বাক্য, কায়, এ সকলের দ্বারা সৰ্ব্বত্র ঈশ্বরদৃষ্টি ; সকল উপায় হইতে শ্ৰেষ্ঠ, ইহাই আমার মত । 鸭 যে সকল জ্ঞাননিষ্ঠ বুক্তিদের উত্তম সাধন অবস্থা হয় নাই,