পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার RGt q তিরস্কার করিয়াছেন বটে, কিন্তু ইংরেজী বাঙ্গালা প্ৰভৃতি ভাষায়, তাহার প্ৰণীত রাশি রাশি বিচারগ্রন্থ পাঠ করিয়া কেহ তন্মধ্যে হইতে বিপক্ষের প্ৰতি একটিও অভদ্র বাক্য বাহির করিয়া দিতে পারেন না। প্ৰতিবাদীর DDB DBDSDBBBDD DDBDB BDBBD DD DBBBBD DDB BDSS BBDBD বিচারের সময়েও তাহার প্রকৃতি লেশমাত্র উষ্ণ হইত না। তাহার নিকট অনেক তর্কালঙ্কার, তর্ক-বাচস্পতি বিচারার্থী হইয়া আসিতেন। আমরা শুনিয়াছি যে, ঘোরতর তর্ক-যুদ্ধের সময়েও তঁাহার স্বাভাবিক গাম্ভীৰ্য্যের লাঘব হইত না । বিপক্ষ হয় ত ক্ৰোধে অন্ধপ্ৰায় হইয়া কতই অন্যায় কথা উচ্চারণ করিতেছে, অথচ রামমোহন রায়ের কোমল ধীরভাব কিছুতেই বিলুপ্ত হইতেছে না। তিনি ক্ৰমে, পরিশেষে বিপক্ষকে সম্পূর্ণরূপ নিরুত্তর ও পরাস্ত করিয়া দিতেছেন। কি মৌখিক, কি লিখিত বিচারে, আত্মপক্ষ সমর্থন জন্য যতটুকু বলা আবশ্যক, তিনি তাহার অধিক কিছুই বলিতেন না। বাস্তবিক, তর্কের সময়ে ধৈৰ্য্যরক্ষা করিতে অতি অল্প লোকেই শিক্ষা কবেন । “আমার নিজের জয় চাই না, সত্যের জয় হউক”, এই ভাবটি মনে বদ্ধমূল থাকিলে, অসহিষ্ণু হইবার সম্ভাবনা অল্পই থাকে। রামমোহন রায়, তাহার শিন্ত পরলোকগত চন্দ্ৰশেখর দেবকে বলিয়াছিলেন যে, ধৰ্ম্মবিষয়ে তর্ক বিতর্কের সময়, প্ৰতিপক্ষের মত ও ভাবকে আমাদের শ্রদ্ধা করা: উচিত । *

  • ১৭৯৪ শক, অগ্রহায়ণের তত্ত্বৰোধিনী পত্রিকা দেখি ।

17