আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থ প্ৰকাশ २१७ ব্যবহার করেন না, ( যেমন প্রটেষ্টাণ্ট ধৰ্ম্মাবলম্বিগণ ) তাহদের সহিত উপরি উক্ত রামায়ৎ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য আছে। এই উভয় সম্প্রদােয়ই অবতারবাদী ও কোনরূপ বাহা প্ৰতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণের বিরোধী । রাজা বলিতেছেন, হিন্দু ও খ্ৰীষ্টিয়ান, ঐ উভয় প্রকার সম্প্রদায়েরই সহিত আমাদের অবিরোধি ভাব থাকা কৰ্ত্তব্য । এদেশে ও ইয়োরোপে র্যাহারা অবতারে বিশ্বাস কবেন, এবং উহাব বাহা প্ৰতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া পূজা করেন, তাহদের প্রতি বিদ্বেষ ভাব থাকা উচিত নহে। রোমান ক্যাথলিক খ্ৰীষ্টিয়ানগণ, পরমেশ্বরে বা ত্রিত্বে, খ্ৰীষ্টের ঈশ্বরত্বে বিশ্বাস কবেন, এবং বাহা প্ৰতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন। ভারতবর্ষে ও এমন সকল হিন্দু রহিয়াছেন, যাহারা তাহদের ন্যায়, অবতাবে বিশ্বাস করেন, ও মৃত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন। ইয়োরোপীয় খ্ৰীষ্টিয়ান ও ভাবতবৰ্ষীয় হিন্দুব মধ্যে এ প্রকার সাদৃশ্য দেখিতেছি । রাজা বলেন যে, ভারতবর্ষীয় ও ইয়ো<োপীয় এই দুই উপাসক সম্প্রদায়ের লোককে, বর্ণেব প্ৰভেদ দ্বারা পরস্পর ভিন্ন বলিয়া বোধ হইলেও, ইতাদের উপাসনার মূলে के दJ अ८छ । বিভিন্ন ধৰ্ম্ম সকলের শ্রেণীবিভাগ এই ক্ষুদ্র গ্ৰন্থখানিতে (প্রার্থনাপত্রে) দেখা যায় যে, রাজা রামমোহন রায় জগতে প্ৰচলিত ধৰ্ম্ম সকলোকে বিশেষ বিশেষ শ্রেণীবদ্ধ করিয়াছেন । র্যাহার একমাত্র নিরাকার পরমেশ্বরের উপাসক, তাহাদিগকে প্ৰথম শ্রেণীভুক্ত করিয়াছেন । ভাবতবর্ষের “দশনামা সন্ন্যাসীদের মধ্যে অনেকে, এবং গুরুন্নানকের সম্প্রদায় ও দাদুপস্থিী ও কবীরপন্থী এবং সন্তমতাবলম্বী প্ৰভৃতি এই ধৰ্ম্মাক্রান্ত হয়েনি।” রাজার মতে, ইয়োরোপ ও আমেরিকার একেশ্বরবাদী খ্ৰীষ্টি যানগণ এই প্ৰথম শ্রেণীর অন্তৰ্গত । অবতারবাদী
