বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WDV8 মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পরামর্শ করিবার জন্য র্তাহার নিকট একজন এডিকিং প্রেরণ করেন । তিনি ( রামমোহন রায় ) এডিকংকে বলিলেন, “আমি এক্ষণে বৈষয়িক কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্ৰহণ করিয়া শাস্ত্রচর্চা ও ধৰ্ম্মানুশীলনে নিযুক্ত রুহিয়াছি। আপনি অনুগ্রহপূর্বক লাট সাহেবকে জ্ঞাত করিবেন যে, রাজদরবারে উপস্থিত হইতে আমার বড় ইচ্ছা নাই। এডিকিং যে প্ৰকার শুনিলেন, বেণ্টিঙ্ক সাহেবের নিকট গিয়া অবিকল তাহা জানাইলেন । বেণ্টিঙ্ক জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি রামমোহন রায়কে কি বলিয়াছিলেন ?” এডিকং উত্তাব করিলেন ‘আমি বলিয়াছিলাম যে, গবর্ণর জেনেবল লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কেবি সহিত আপনি একবার সাক্ষাৎ কবিলে তিনি বাধিত হন।” বেণ্টিঙ্ক শুনিয়া বলিলেন, “আপনি পুনর্বার র্তাহার নিকট গমন করুন ; গিয়া বলুন যে, মিষ্টাব উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের সহিত আপনি অনুগ্রহপূর্বক সাক্ষাৎ করিলে তিনি বাধিত হন।” এডিকং পুনরায় রামমোহন বায়ের নিকট আসিয়া ঐ রূপ বলিলেন। গবর্ণব জেনেরালের এতদূর আগ্রহ ও শিষ্টাচাবকে বামমোহন রায় কোনক্রমেই উপেক্ষা করিতে পারিলেন না । অবিলম্বে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। বেণ্টিঙ্ক ও রামমোহন বায়ের এই শুভযোগ হইতে যে সুমহৎ ফল প্ৰসূত হইয়াছিল, তাহা কাহাবও অবিদিত নাই । জনৈক সুবক্তা ইহাকে “মণিকাঞ্চনযোগ’ বলিয়াছেন । বাজা রামমোহন রায় গবৰ্ণমেণ্টের নিকট প্ৰতিপন্ন করিয়াছিলেন যে, হিন্দুরমণীগণ যে, বুদ্ধি-বিবেচনার অনুবৰ্ত্তিনী হইয়া সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে শরীর ভস্মাবিশেষ করিতেন, এরূপ নহে । বিধবার সম্পত্তি থাকিলে অনেক স্থলে তাহার স্বার্থপর আত্মীয়গণ উহা অধিকার করিবার আশায়, সহমরণে তাহার প্রবৃত্তি জন্মাইবার জন্য অর্থলোভী ব্ৰাহ্মণগণকে উৎকোচ দিয়া নিযুক্ত করিতেন । বিধবা যখন পতিবিরহে শোকোম্মত্তা, বাহিত্যুজ্ঞান