পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত অভিসম্পাতের কথা বলিলেন, এবং উভয়ে আপনাদিগের বিশ্বাস ও সংস্কারানুসারে পুত্রের ধৰ্ম্মোন্নতি বিষয়ে যত্নশীল লইলেন। রামকান্ত রায় ও লাঙ্গুলপাড়ায় বাস রামকান্ত রায়ও, পিতৃদৃষ্টান্তানুসারে, প্ৰথমে মুরশিদাবাদে নবাবসরকারে কৰ্ম্ম করেন । কিন্তু তাহারও প্ৰতি কোন প্ৰকার অসদ্ব্যবহার হওয়াতে তিনি বিরক্ত হইয়া কৰ্ম্ম পরিত্যাগপূর্বক রাধানগরে আসিয়া অবস্থিতি করেন । রামকান্ত রায় বৰ্দ্ধমানাধিপতিব জমীদারীর অন্তৰ্গত খানাকুল কৃষ্ণনগর প্রভৃতি কয়েকখানি গ্রাম ইজারা লইয়াছিলেন । এই উপলক্ষে বৰ্দ্ধমানরাজের সহিত র্তাহার সর্বদাই কলহ হইত। রাজার অত্যাচার অসহ্যু হওয়াতে বামকান্ত রায় বিষয়কৰ্ম্মে অত্যন্ত উদাসীন হইয়াছিলেন । একটি তুলসীর উদ্যানে বসিয়া সৰ্ব্বদা হরিনাম জপ করিতেন। সময়মত বিষয়-কৰ্ম্ম দেখিতেন । রামকান্তের প্রতি এই প্ৰকার অসদ্ব্যবহারবশতঃ রায়-বংশীয়েরা বদ্ধমান রাজবংশের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন । কথিত আছে, রামমোহন রায় যৌবনকালে একবার রাজা তেজচন্দ্রের সমক্ষে তাহার অন্যায় ব্যবহারের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন । যাহা হউক, র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র রাধাপ্ৰসাদেব মৃত্যুর পর, কনিষ্ঠ পুত্র রমাপ্ৰসাদের সঙ্গে বৰ্দ্ধমানরাজ মাহাতাবচন্দ্রের সদ্ভাব হইয়াছিল। এস্থলে বলা আবশ্যক যে, রায়বংশ বহুবিস্তৃত হওয়াতে, রামকান্ত সপরিবারে লাঙ্গুলপাড়া গ্রামে আসিয়া বাস করেন । , অল্পবয়সে রামমোহন রায়ের প্রচলিত ধৰ্ম্মে নিষ্ঠা নিতান্ত অল্প বয়সেই প্ৰচলিত ধৰ্ম্মের প্রতি রামমোহন রায়ের আন্তরিক আস্থা জন্মিয়াছিল । তিনি গৃহদেবতা রাধাগোবিন্দকে যার