পারিবারিক ঘটনা এবং বিলাতগমনের উদ্যোগ। ৪২৫ সুবিধা হইল। সেই সময়ের দিল্লীর বান্দস কোন বিষয়ের জন্য বিলাতে আবেদন করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন । তিনি লোক-পরম্পরায় শুনিতে পাইলেন যে, রামমোহন রায় বিলাত যাইবেন। সুতরাং ভাবিলেন যে, রামমোহন রায়কে তঁহার দূতরূপে ইংলণ্ডের রাজসভায় প্রেরণ করিয়া তাহার কষ্ট ও অভাবের বিষয় রাজা ও মন্ত্রিগণের গোচর করা আবশ্যক । বাদাসাহের আবেদনের বিষয় এই ছিল যে, বাদসার সহিত বৃটিস গবৰ্ণমেণ্টের সন্ধিপত্রে তঁহাকে যে নির্দিষ্ট বৃত্তি দিবার কথা ছিল, তাহা অপেক্ষা অল্প পরিমাণে বৃত্তি প্ৰদান করা হইত। আর সেই অপেক্ষাকৃত অল্প পরিমাণ বৃত্তি দ্বারা তঁহার অভাব সকল পূর্ণ হইত না । বাদসার পরিবারগণ অর্থাভাব নিবন্ধন বিশেষ অসুবিধা ভোগ করিতেছিলেন । এই জন্য ১৮২৯ সালের আগষ্ট মাসের প্রথমে বাদসহ রামমোহন রায়কে “রাজা” উপাধি দিয়া ইংলণ্ডের রাজসভায় তঁাহাকে প্রেরণ করিবার জন্য, তাহার দূতরূপে নিযুক্ত করিলেন । রামমোহন রায় এই ‘রাজা” উপাধি গ্ৰহণ করিয়া মণ্টগোমেরি মাটিন সাহেবকে বাদসার কাৰ্য্যে তঁাহার সহকারিরূপে গ্ৰহণ করিলেন। এই মার্টিন সাহেব, বেঙ্গল হের্যান্ড (Bengal Herald) নামক সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। ১৮২৯ সালে, দ্বারকানাথ ঠাকুর, এন, আর হালদার ও রামমোহন রায় এই পত্রের স্বত্বাধিকারী হইয়াছিলেন । কলিকাতা সুপ্রীমকোটে, একজন এটনি এই পত্রের বিরুদ্ধে লাইবেল মোকদম উপস্থিত করাতে, রামমোহন রায় ইহার জনৈক স্বত্বাধিকারিরূপে আপনাকে দোষী বলিয়া স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । শীঘ্রই উক্ত সংবাদ-পত্ৰ উঠিয়া গেল। মার্টিন সাহেব সম্পাদকের কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া রামমোহন রায়ের অধীনে বাদসার কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলেন।