পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বিসাপ তাঁহাকে ক্ষমতা ও মৰ্য্যাদা বৃদ্ধির কথা বলিয়া, তাহাকে সাংসারিক প্রলোভনপ্রদর্শন পূর্বক খ্ৰীষ্টীয়ান হইতে অনুরোধ করায় তিনি এতদূর বিরক্ত হইয়াছিলেন,-বিশপের প্রতি তাহার এতদূর অশ্রদ্ধা হইয়াছিল যে, তিনি আর জীবনে কখন তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন নাই। প্ৰকৃত ধৰ্ম্মজীবনে কোমলতা ও কঠিনতা :-বীজ ও পুস্প একত্রে জড়িত থাকে । রামমোহন রায়ের চরিত্রে তাহাই ছিল । তাহার আশ্চৰ্য্য অটলভাব বিষয়ে আমরা আর একটি গল্প বলিব। কলিকাতার সানকি ভাঙ্গার ভবানিচরণ দত্ত * এবং কলুটোলার নীলমণি কেরাণী, রামমোহন রায়ের সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। তাহারা উভয়ে মনে করিলেন যে, রামমোহন রায় কেমন ব্ৰহ্মজ্ঞানী একবার পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হইবে। তিনি শোকে তাপে অধীর হন কি না, পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হইবে । রামমোহন রায়ের পুত্র রাধাপ্ৰসাদ কৃষ্ণনগরে কৰ্ম্ম করিতেন। ভবানী ও নীলমণি উভয়ে মিলিয়া রাধাপ্ৰসাদের মৃত্যুসংবাদসম্বলিত একখানি জাল পত্র রামমোহন রায়ের নিকট প্রেরণ করিলেন। সে সময়ে ডাক ছিল না । এক স্থান হইতে অন্যস্থানে কাসিদ অর্থাৎ এক প্রকার হরকরার দ্বারা পত্ৰাদি প্রেরণ কবা হইত। ভবানীচরণ ও নীলমণি একটি লোককে কাসিদ সাজাইয়া তাহাকে রামমোহন রায়ের নিকটে প্রেরণ করিলেন। সে ব্যক্তি সে জাল চিঠি লইয়া রামমোহন রায়ের সম্মুখে উপস্থিত হইল। পত্ৰখানি রামমোহন রায়ের { হন্তে দিয়া বলিল, আমি কৃষ্ণনগর হইতে আসিতেছি। রামমোহন রায় পত্ৰ খুলিয়া পাঠ করিতে লাগিলেন। ভবানীচরণ ও নীলমণি পূর্বে আসিয়া তাহার নিকটে বসিয়াছিলেন। পত্ৰ পাঠ করিয়া রামমোহন রায়ের মুখ মান হইয়া গেল। কিন্তু পাঁচ মিনিটের -ris-- w ■ܫܒܫܒܬ

  • ইহার নামে কলিকাতায় একটি গলি আছে ।