পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের বিষয়ে আরও কয়েকটি কথা ৬৭১ আয়ের হ্রাস হইয়া যায়। লোকসংখ্যার বৃদ্ধি হইলে দেশান্তরে গিয়া উপনিবেশ সংস্থাপন প্ৰাৰ্থনীয় । শ্রমজীবীরা এক্ষণে অনেকে বিদেশে যাইতেছে । ১৮১৭ সালে, বাঙ্গালা দেশের ওলাউঠার মারীভয় মনে করিয়াই রাজা ওলাউঠার कथा दलिभूigछम । বিবাহাদিতে অন্যায় ব্যয় এদেশের সন্ত্রান্ত জমীদার ও অন্য অন্য ভদ্রলোকে শ্ৰাদ্ধ ও বিবাহাদি উপলক্ষে যে অতিরিক্ত অর্থব্যয় করিয়া থাকেন, রাজা তাহ অন্যায় বলিয়া প্ৰতিপন্ন করিতেছেন । কৃষিজীবীরা যে অতিরিক্ত অন্যায় ব্যয় করিয়া থাকে, রাজা একথা স্বীকার করেন না । রাজা বলিতেছেন যে, কৃষক তাহার সমস্ত ফসল বিক্রয় করিয়া জমীদারের খাজনা দিতে বাধ্য হয় । কিন্তু রাজা মহা জনদিগের বিষয় কিছুই বলেন নাই । রাজশক্তির বিভাগ রাজতন্ত্রপ্রণালী বা প্ৰজাতন্ত্রপ্রণালীর মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ, তদ্বিষয়ে রাজা রামমোহন রায় অধিক কথা বলেন নাই। এ বিষয় যে প্রয়োজনীয় নয়, তিনি এমন মনে করিতেন না । তবে রাজশক্তির বিভাগ, ইহা অপেক্ষা অধিকতর প্রয়োজনীয় বিষয় বলিয়া মনে করিতেন । ব্যবস্থাপক ও রাজকাৰ্য্য নির্বাহকগণের স্বতন্ত্র বিভাগ রাজা বলিতেছেন যে, প্ৰধানতঃ রাজশক্তি দুই ভাগে বিভক্ত । প্ৰথম, রাজবিধি প্ৰণয়ন-ক্ষমতা। দ্বিতীয়, রাজবিধি অনুসারে রাজকাৰ্য্যনিৰ্বাহ করিবার ক্ষমতা। রাজার মতে, এই দুই প্ৰকার কার্য্য বিভিন্ন