বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ 8Ns আসিয়াছিলেন। পরে, সে সকল ব্যবহার কিছুই রহিলা না। ব্ৰাহ্মণের পক্ষে যবনের দাসত্ব করা, যবনের শাস্ত্ৰ পাঠ করা এবং যবনকে শাস্ত্ৰপাঠ করান, এই সকল কি পূর্বকাল-প্রচলিত ধৰ্ম্মানুযায়ী কাৰ্য্য ? অতএব আত্মীয় স্বজনের উপাসনাপ্ৰণালী ও ব্যবহার পরিত্যাগ করিয়া, ভিন্ন প্রকার উপাসনাপ্রণালী অবলম্বন, এবং পূর্ব নিয়ম পরিত্যাগ করিয়া নূতন ব্যবস্থা গ্ৰহণ, লোকে চিরদিনই করিয়া আসিতেছে। তবে কেন পরমার্থ বিষয়ে উত্তম পথ অবলম্বন করিবার সময় আপত্তি করা হয় যে, , উহা স্ববর্গের অবলম্বিত নহে ও পৈতৃক ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ, সুতরাং উহা গ্ৰহণ করা অনুচিত ? ব্রহ্মোপাসকের লৌকিক জ্ঞান থাকে না ; সুতরাং গৃহস্থ ব্ৰহ্মোপাসক হইতে পারেন কি না ? তৃতীয়তঃ ;-সাকারবাদিগণ আপত্তি করিয়া থাকেন যে, ব্রহ্মোপাসনা করিলে লোকের লৌকিক ভদ্রাভদ্র জ্ঞান, সুগন্ধ ও দুৰ্গন্ধ এবং অগ্নি ও জলের পৃথক জ্ঞান থাকে না। অতএব গৃহস্থলোকে কিরূপে ব্ৰহ্মোপাসনা করিতে পারে ? রাজা রামমোহন রায়, এ কথার উত্তরে, তাহার প্রতিপক্ষ সাকারবাদী দিগকে বলিতেছেন যে, কি প্ৰমাণে র্তাহারা এ কথা বলেন, তাহা জানিতে পারা যায় না। সাকারবাদীরাই স্বীকার করেন যে, নারদ, জনক, সনৎকুমারাদি, শুক, বশিষ্ঠ, ব্যাস, কপিল প্ৰভৃতি ব্ৰহ্মজ্ঞানী ছিলেন ; অথচ তাহারা অগ্নিকে অগ্নি, ও জলকে জলরূপে ব্যবহার করিতেন, গাৰ্হস্থ্যকৰ্ম্ম ও রাজকাৰ্য্য করিতেন এবং শিষ্য সকলকে যথাযোগ্য রূপে জ্ঞানোপদেশ প্ৰদান করিতেন । তবে কিরূপে বিশ্বাস করা যায় যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানীর ভদ্রাভদ্রজ্ঞান কিছুই থাকে না ? লোকে কেমন করিয়া এরূপ কথার আদর করেন, তাহা বুঝিতে পারা যায় না। যদি বল, 4.