জীবন কাটায়, তোমারও তেমনি কাটবে। তোমাদের এবং ছেলে-মেয়েদের জন্য আহারের রুটি এবং বাসের কুটিরের সংস্থান করতে করতে জীবন কাটাবে। যে ব্রত নিয়ে আমরা নেবেছি, তার পক্ষে তোমাদের কোনো অস্তিত্বই থাকবেনা—তোমার এবং ন্যাটাশার!
এণ্ড্রি চুপ ক’রে রইলো। পেভেল এবার সুর নরম করে বললো, এসব, ছেড়ে দ্বাও এণ্ড্রি। একটা মেয়েকে নিয়ে মজে যেয়োনা, স্থির হও,—এই হচ্ছে একমাত্র শ্রেয় পথ।
এণ্ড্রি বললো, কিন্তু আলেক্সি আইভানোভিচ কি বলেছিলেন মনে আছে? মানুষকে পরিপূর্ণ জীবন-যাপন করতে হ’বে···দেহের এবং আত্মার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ ক’রে, —মনে আছে পেভেল!
পেভেল সোজা জবাব দিলো, সে আমাদের জন্য নয়, এণ্ড্রি? পরিপূর্ণ জীবন কি করে লাভ করবে তুমি···তা যে তোমার নাগালের বাইরে। এণ্ড্রি, যদি ভবিষ্যৎকে ভালোবাসো, ভবিষ্যৎকে চাও, তবে বর্তমানের সব-কিছু তোমায় ত্যাগ করতে হ’বে—সব কিছু।
মানুষের পক্ষে তা’ শক্ত—এণ্ড্রি বললো।
কিন্তু আর কি করার আছে? ভেবে দেখো।
এণ্ড্রি আবার চুপ···ঘড়ির টিক টিক শব্দে যেন জীবন থেকে এক একটা মুহূর্ত কেটে নিচ্ছে।···শেষে এণ্ড্রির কথা ফুটলো, আদ্দেক প্রাণ বাসে ভালো, আদ্দেক করে ঘৃণা!—এই কি প্রাণ?
আমি জিগ্যেস করি, তোমার আর কি করার আছে?···ব’লে পেভেল বইয়ের পাতা উল্টাতে লাগলো।
তা হ’লে আমার চুপ করে থাকতে হবে?
হাঁ, তাই উচিত।
৩৯