দ্বিজেন্দ্রলালের কাছ থেকে আমি কবিতাটি নিয়ে আসি— তার নাম—‘কে সে বল সবার চেয়ে সুন্দরী স্ত্রীলোক?’ দ্বিজেন্দ্রলালের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় হয়েছিল এইটুকু— আমার নাম পর্যন্ত তিনি জানতেন না।
এখন লোকমুখে শুনলুম, “অর্চনা”য় “দুর্গাদাস” সম্বন্ধে আমার মতামত পাঠ ক’রে দ্বিজেন্দ্রলাল খুসি হয়েছেন। শুনে সাহসী হয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলুম। তিনি তখন নিজের বাড়ী “সুরধামে” উঠে এসেছেন।
আমাকে দেখেই দ্বিজেন্দ্রলাল চিনতে পারলেন। বললেন, ‘কি খবর? নলিনীবাবুর কাছ থেকে আসছেন বুঝি?’
—‘আজ্ঞে না, নিজেই আসছি।’
—‘বসুন। কোন কথা আছে?’
—‘বিশেষ কিছুই নয়। “অর্চনা”য় আমার লেখাটি আপনি পড়েছেন?’
—‘কোন্ লেখা?’
— ‘“দুর্গাদাস” সমালোচনার প্রতিবাদ?’
—‘সেটি কি আপনার লেখা? আপনিই হেমেন্দ্রবাবু?’
আমি মাথা নেড়ে সায় দিলুম।
দ্বিজেন্দ্রলাল বললেন, ‘আমি আপনার লেখাটি পড়েছি। আমার ভালো লেগেছে। আমি দেখিয়েছি, আওরংজেবের দরবারের ভিতর থেকে দুর্গাদাস তরবারি খুলে চ’লে গেল। সমালোচক এটা অস্বাভাবিক ব’লে আমাকে ব্যঙ্গ করেছেন। আমিও জানি এটা ঐতিহাসিক সত্য নয়। কিন্তু ইতিহাস এটা স্বীকার করেছে যে, দুর্গাদাস মুষ্টিমেয় লোক নিয়ে রাজধানী দিল্লীর মোগল-ব্যূহ ভেদ ক’রে অনায়াসেই আওরংজেবের নাগালের
৪৫