পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডানপিটে ଈd: লিইয়াও সেখানে যাইতে হইতেছে। নিজে দুধ খাওয়া ছাড়িয়া দিল-বাড়ীর চাকরকে জবাব দিল। খরচ কম পড়িবে বলিয়া স্ত্রী ও পুত্রবধূকে কলিকাতায় পাঠাইয়া ছেলেদের বাসা করিয়া দিল--নিজে দেশে হাত পুড়াইয়া রাধিয়া খাইয়া এবং সারাদিন টাে টো করিয়া গ্রামে গ্রামে রোগী দেখিয়া যাহা পায়, প্ৰতি সপ্তাহে কলিকাতার বাসাতে বিনয়ের নামে মণি অর্ডার করে । বিনয় এমবি পাশ করিয়া যুদ্ধে গেল । সতীশের দুঃখ ঘুচিল এতদিনে। গ্রামের মধ্যেও একটা সাড়া পড়িল না। এমন নয়। এ অঞ্চলে এমবি পাশ করা ডাক্তার এই প্ৰথম । তাহার উপর বিনয় আবার গবর্ণমেণ্টেয় চাকুরি পাইয়া সুদূর মেসোপেটেমিয়ায় গিয়াছে। সেদিন না-কি ছোট খাটো একটি খণ্ড যুদ্ধে আরবদের গুলি বিনয়ের কাণের পাশ কাটাইয়া বাহির হইয়া গিয়াছে, পয়সা কি এমনি হয় ? বিনয় পত্রে এ ঘটনাটি বাবাকে জানাইয়াছিল। নরহরিপুরের বাজারে ভূষণ দ-এর পুরানো আড়াটি আর ছিল না- কারণ পনেরো বৎসর হইল ভূষণ মরিয়া গিয়াছে। তবুও এ দোকানে, ও দোকানে বসিয়া সতীশ গর্বের সঙ্গে পুত্রের চিঠি হইতে যতটুকু সে দেশের খবর পায়, তারই সাহায্যে যুদ্ধের গল্প করে। সঙ্গে সঙ্গে বলে-কিন্তু আমাদের নেপালে যখন প্ৰাইমামিনিষ্টারের বাড়ীর সামনের ময়দানে প্যারেড হােত, তাতে আমরা যুদ্ধের কৌশল সবই দেখেচি। মেসিন গান ? ও তো আমাদের সময়েই প্ৰথমে নেপালে এল• • • আমাদের কাছে ও সব नङ्गन नग्न অর্থাৎ নেপাল ও সতীশের যৌবন-ইহার কাহারও কাছে পরাজয় স্বীকার করিবে না। সব ছিল নেপালে। দু' চারবার মোটা টাকার মণিঅর্ডার পাইয়া সতীশ মহা উৎসাহে বাড়ী নতুন করিয়া তৈরী করিবার জন্য মিস্ত্রি লাগাইল । ছেলে