পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रावबौकष्कन ও উত্তজবলতা সত্ৰীলোকের সম্ভবে, পরষের প্রায় সম্ভবে না। চিন্তা অথবা বয়সের একটী রেখাও এ. পৰ্য্যন্ত ললাটে অঙ্কিত হয় নাই, ললাট পরিকার ও উন্নত। সমস্ত বদনমণ্ডল দেখিলে যোদ্ধা বলিয়া বোধ হয় না, বালক বলিয়া বোধ হয়, বাল্যাবস্থাতেই হতভাগা স্বজন ও স্বদেশ হইতে বহন্দরে আসিয়া আজি প্রাণ হারাইতে বসিয়াছে ! রাজপতেসেনা দুই জনেরই যুদ্ধব্যবসায়ে হৃদয়ের স্বাভাবিক দয়া অনেক হ্রাস হইয়াছে, বালককে দেখিয়া তাহারা হাস্য করিয়া এইরূপে কথোপকথন করিতে লাগিল । প্রথম সেনা। এ বালক ! এই বয়সেই যুদ্ধ করিতে আসিয়াছে ? দ্বিতীয় সেনা। দেখিতেছি সজোর পক্ষের সেনা । বালক যুদ্ধে পরাঙ্মথে নহে, আমাদের রেখা পৰ্য্যন্ত আসিয়া যুদ্ধ করিয়াছে। এ কোন দেশের লোক ? প্রথম সেনা। জানি না। ಸ್ಥಳ ! আমার বোধ হয় বঙ্গদেশের হিন্দ, মোগল বা পাঠান হইলে এরপে বেশ না | প্রথম সেনা । হা হা হা! সজা এই বাঙ্গালী শিশু লইয়া মহারাজ জয়সিংহ ও সলাইমানের সহিত যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিলেন ? পনরায় যখন আসিবেন, আমরা যুদ্ধে না আসিয়া আমাদের বালকদিগকে পাঠাইয়া দিব। চল এখানে আর কেন, আমাদের বন্ধর অন্বেষণ করি । দ্বিতীয় সেনা। এ লোকটা জীবিত আছে, একটু সাহায্য করিলে বোধ হয় বাঁচিবে, ইহাকে ত্যাগ করিয়া যাইব ? প্রথম সেনা। শত্রকে বাঁচাইতে গেলে আমাদের সময় থাকে না, আমি এক দন্ডে ইহার দফা শেষ করিতেছি। এই বলিয়া সেনা আসি নিকোষিত করিল। দ্বিতীয় সেনা তাহাকে নিবারণ করিয়া বলিল,—না, না, মন্মষের লোকের প্রাণনাশ করিতে আমাদের প্রভু মহারাজা যশোবন্তসিংহ নিষেধ করিয়াছিলেন, তুমি যাও, আমি ইহাকে বাঁচাইব। প্রথম সেনা হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল, দ্বিতীয় সেনা জলসেচন দ্বারা মন্মষের যবোকে জীবিত করিল। যুবা নেত্র উন্মীলিত করিয়া দেখিল চারিদিকে শব পড়িয়া রহিয়াছে, আকাশে চন্দ্র উদয় হইয়াছে, যুদ্ধ শেষ হইয়াছে, জগৎ নিস্তব্ধ । যবেক জিজ্ঞাসা করিল,—বন্ধ, তুমি সুম দি ক্ষে কাছ তোমার নাম কি? কোন পক্ষের জয় হইয়াছে, সজা কোথায় গয়াছেন ? সেনা বলিল,—আমার নাম গজপতিসিংহ, আমি মহারাজা যশোবন্তসিংহের এক জন সেনানী, এক্ষণে মহারাজা জয়সিংহের আজ্ঞাধীন। তোমার সজা অতিশয় বিলাসীপ্রয়, এতক্ষণ বেগমদিগের বিচ্ছেদে পীড়িত হইয়া উদ্ধদৰ্শ্বাসে বঙ্গদেশাভিমুখে চলিয়া গিয়াছেন ; হা—হা ! যবেক অতিশয় ক্ষম হইয়া ভূমির দিকে অবলোকন করিতে লাগিল। ক্ষণেক পর বলিল,— তুমি আমার শত্রন, কিন্তু আমার জীবন রক্ষা করিয়াছ, এক্ষণে আমাকে আর একটা সাহায্য কর। একটা জল দাও, আর দুই এক দিন থাকিবার স্থান দাও । আমার দেশ অনেক দর, এখানে আমার একজনও বন্ধ নাই, আমার নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত। জল দাও, জল দাও । নরেন্দ্রের বালকাকৃতি দেখিয়া গজপতিসিংহের দয়ার আবিভাব হইয়াছিল, বালকের কাতরোক্তি শুনিয়া একটন মমতা হইল। শাশ্রষো করিয়া শিবিরে লইয়া গেলেন। দশম পরিচ্ছেদ ঃ রাজা জয়সিংহের শিবির WHERE judgment sits clear-sighted and surveys The chain of reason with unerring gaze. —Thompson. একটী প্রকান্ড শিবিরের অভ্যন্তরে দুইজন মহাবীর বসিয়া কথোপকথন করিতেছিলেন। একজন রাজপত রাজা জয়সিংহ, অপর জন তাঁহার পরম সহৃদ দেবেরখাঁ, জাতিতে পাঠান। রাজার বয়ঃক্রম অনেক হইয়াছে, কিন্তু এখনও মুখমন্ডল যৌবনের তেজে পরিপািণ, শরীর যৌবনের বলে বলিষ্ঠ । সে সময়ে মোগল সম্রাটদিগের প্রধান সেনাপতি অধিকাংশই রাজপতে ఫ్సి 3 ●