পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমেশ রচনাৰলী জানিবে ? অামি এ সমস্ত ব্যাপারে লিপ্ত হইয়া সকলের অসাধ্য কাষ্যও সাধন করতাম। আমার এই গণের জন্যই সাহেব বেগম আমার এরপে ক্রোধ সহ্য করতেন। 載 “যখন দিল্লী পরিত্যাগ করিয়া তোমার সহিত আসিলাম, আমার স্বভাব কিছুমাত্র অন্যথা হইল না, দেওয়ানা হইয়া তোমার সহিত আসিলাম । * * “উদয়পুরের হ্রদে নৌকা করিয়া সন্ধ্যার সময় চন্দ্রালোকে বেড়াইতে যাইতে, স্মরণ হয় ? তোমাকে সব্বদাই চিন্তিত দেখিতাম, কিন্তু তুমি কি ভাবিতে স্থির করিতে পারিতাম না। একদিন আমি নৌকায় বসিয়াছিলাম, তুমি আমার অঙ্কে মন্তক রাখিয়া শুইয়াছিলে ও চন্দ্রের দিকে দেখিতেছিলে, স্মরণ হয় ? আমিও সমস্ত সময় তোমার চন্দুকরোজবল মুখের দিকে চাহিয়াছিলাম, তোমার কেশ বিন্যাস করিয়া দিতেছিলাম, তোমার অঙ্গলি লইয়া খেলা করিতেছিলাম। সহসা তুমি দীঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলে, হেম! আর কি তোমাকে এ জীবনে দেখিতে পুধু নি জনা আল আন না স্থি এ বা আলম। আমার মনে সন্দেহ জাগ্ৰং | “সত্ৰীলোকের মনে একবার সন্দেহ উদয় হইলে তাহা শীঘ্ৰ তিরোহিত হয় না। দিবারাত্রি তোমার হেমের কথা জানিতে উৎসকে থাকিতাম, তোমার কাগজপত্র চুরি করিয়া পড়াইয়া লইতাম, কথায় কথায় তোমার নিকট হইতে বীরনগরের সমস্ত কথা বাহির করিয়া লইলাম। তখন তোমার R ఖా శా శా తాళా ఖా శా: গল । “তোমার হিন্দধমে আস্থা দেখিয়া আমি একলিঙ্গ-মন্দিরের গোস্বামীদিগের নিকট আপন ইন্সটলাভের জন্য যাইলাম। প্রথমে যাঁহার নিকট যাইলাম তিনি পরম তেজস্বী ও ধামিক, আমার সমস্ত প্রস্তাব শুনিয়া আমাকে পদাঘাত করিয়া তাড়াইয়া দিলেন। এইরপে তিন চারি জনের নিকট অবমানিত হইয়া অবশেষে সেই শৈলেশ্বরের নিকট যাইলাম। তিনি অনেক অথলোভে সম্মত হইলেন। আমি তৎক্ষণাৎ তিন শত মাদ্রার একটী হীরক-বলয় তাঁহার হস্তে দিলাম, আর সহস্র মদ্রার একটী মত্তোমালা তাঁহার সম্মুখে দোলাইয়া বলিলাম,—যদি ছলে বলে কৌশলে নরেন্দ্রকে হেমলতার চিন্তা ত্যাগ করাইতে পার, মসলমান ধৰ্ম্ম অবলম্ববন করাইতে পার, আমাকে গ্রহণ করাইতে পার, তবে এই মুক্তাহার তোমার গলায় স্বহস্তে পরাইয়া দিব। "এত অথ কোথায় পাইলাম জিজ্ঞাসা করিবে। জেহানআরার দাসদাসীরও অথের অভাব ছিল না। দেশের বড় বড় লোক সম্রাটের নিকট কোন আবেদন করিতে আসিলে বেগম সাহেবকে উপঢৌকন না দিলে কোন কায্যই সম্পাদিত হইত না। কেহ একটী উচ্চ কমের প্রাথী, কেহ একটী বিষয়ের প্রাথী, কেহ প্রজার উপর অত্যাচার করিয়াছেন তাহার ক্ষমা চাহেন, কেহ পরের জায়গীর কাড়িয়া লইয়াছেন তাহার একটী সনন্দপত্র চাহেন, কোন যোদ্ধা যুদ্ধে পরাস্ত হইয়াছেন তাহার ক্ষমাপ্রাথী, কাহারও উপর সম্রাটের অন্যায় ক্রোধ হইয়াছে, সে ক্রোধ হইতে নিস্তার পাওয়া আবশ্যক,—সকলেই রাশি রাশি হীরা, মুক্তা ও অর্থ বেগম সাহেবের নিকট ಸ್ಟ್ಗಳ ಆr 8¤ ¤ ¤! বেগম সাহেবের দাসীরাও অর্থে বঞ্চিত व्स ! “তাহার পর শৈলেশ্বর যে যে উপায় অবলম্ববন করিয়াছিলেন তাহা তুমি জান । সে উপায় বিফল হইল, আমার আশা বিফল হইল। দুই দিন পর্বতগহবরে নিজে নারীবেশে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলাম, তুমি সরায় উন্মত্ত ছিলে, দেখিয়াছিলে কি না জানি না! প্রথম দিন তোমার পদতলে পড়িয়া রোদন করিয়াছিলাম, দ্বিতীয় দিবস তোমার প্রাণসংহারে উদ্যত হইয়াছিলাম। হস্ত হইতে খড়গ পড়িয়া গেল, তাতারের হস্ত হইতে খড়া পড়িয়া যায় কখনও জানিতাম না, আমি এরপ ক্ষীণ তাহা জানিতাম না। “পরে তোমার সহিত পনেরায় আগ্ৰায় আসিলাম। অনুসন্ধানে জানিলাম বঙ্গদেশ হইতে একজন ধনাঢ্য জমীদার অসিয়াছে—তোমার হেমকে দেখিলাম। পাপিষ্ঠ ! পরসী তোমার হেম ? উঃ—আর যাতনা সহ্য করিতে পারি না। মথুরার গোলকনাথের মন্দিরে তিন দিন পর এক প্রহর রাত্রির সময় যাইও, পরসীকে আবার দেখিও ! তুমি আমাকে হতভাগিনী করিয়াছ, তোমাকেও হতভাগা করিব, সেই জন্য এই সমাচার দিলাম ! সেই জন্য আগ্রার দলগে লইয়া ষাইয়া হেমকে দেখাইয়াছিলাম ! 'S 88