পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अझाब्राष्प्ले जीबन-टञ्चाङ জনান্দন । দাগে কাহারও সহিত পরিচয় আছে ? থাকিবার স্থান আছে ? . রঘুনাথ। পরিচয় নাই, কিন্তু কোন এক স্থানে রজনী অতিবাহিত করিব, কল্য প্রাতেই চলিয়া যাইব । _ জনান্দন। কি জন্য অনথািক ক্লেশ সহ্য করিবে ? রঘুনাথ। প্রভুর অনগ্রহে কোন ক্লেশ হইবে না, আমাদিগকে সবাদাই এইরুপে রাল্লি অতিবাহিত করিতে হয়। o জনান্দন। বৎস! যুদ্ধসময়ে ক্লেশ অনিবাৰ্য্য, কিন্তু অদ্য ক্লেশ সহনের কোন আবশ্যকতা নাই । আমার এই দেবালয়ে অবস্থিতি কর, আমার পালিতকন্যা তোমার খাদ্যের আয়োজন করিয়া দিবে। পরে রাত্রিতে বিশ্রাম করিয়া কল্য শিবজীর নিকটে দেবীর আজ্ঞা লইয়া যাইবে। রঘুনাথজীর বক্ষঃস্থল সহসা সফীত হইল, তাঁহার হৃদয়ে ষেন কে সজোরে আঘাত করিল। এ যাতনা না আনন্দের উদ্বেগ ? জনাদনের পালিতকন্যা কে ? তিনি কি সেই পক্ষেপাদ্যানে দষ্টা লাবণ্যময়ী রাজপতবালা ? চতুথ পরিচ্ছেদ ঃ কাঠমালা মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন । —ভারতচন্দ রায় । রজনী প্রায় এক প্রহর হইলে সরযবালা পিতার আদেশে অতিথির খাদ্যের আয়োজন করিয়া দিলেন। রঘুনাথ আসন গ্রহণ করিলেন, সরয পশ্চাতে দণ্ডায়মান রহিলেন। মহারাষ্ট্রদেশে ei BBB BB BB BBB BB BiD D i রাত অাছে। রঘুনাথ আহার করিতে বসিলেন, কিন্তু রঘুনাথের হৃদয় আজি চাঞ্চল্য-পরিপণ ও অস্থির। ঠিক জানেন না। জনাদন ঔৎসুক্য সহকারে রাজস্থানের কথা কহিতে লাগিলেন, রঘুনাথ সময়ে সময়ে উত্তর দেন, সময়ে সময়ে একটা অন্যমনস্ক হয়েন। আহার শেষ হইল। শ্বেতপ্রস্তর-বিনিমিত আধারে সরয মিস্ট সরবৎ আনিয়া দিলেন, বঘনাথ পাত্রধারিণীর দিকে সোদ্বেগচিত্তে চাহিলেন, যেন তাঁহার হৃদয় সেই দটির সহিত মিলিত হইয়া সেই কন্যার দিকে ধাবমান হইল। চারি চক্ষর মিলন হইল, সরযর মুখমণ্ডল লৎজায় ঈষৎ রক্তবণ হইল, মাখ অবনত করিয়া সরয ধীরে ধীরে সরিয়া গেলেন। রঘুনাথও যৎপরোনাস্তি লজিত হইয়া অধোবদন হইলেন । হস্তমুখ প্রক্ষালনের জন্য সরয জল আনিয়া দিলেন। রঘুনাথ বাবর নহেন, এবার তিনি মুখ অবনত করিয়া রহিলেন, কেবল সরযর সন্দের সবণ বলয়বিজড়িত সগোল বাহমাত্র দেখিতে পাইলেন। একটী দীঘ"শ্বাস ত্যাগ করিলেন। রঘুনাথের শয্যারচনা হইল। রঘুনাথ শয়ন করিলেন না, ঘরের দ্বার ধীরে ধীরে উদ্ঘাটন করিয়া নক্ষত্রালোকে সেই পক্ষেপাদ্যানে পদচারণ করিতে লাগিলেন। সেই গভীর অন্ধকারে নক্ষত্র-বিভূষিত নৈশ আকাশের দিকে স্থিরদটি করিয়া অলপবয়স্ক যোদ্ধা কি চিন্তা করিতেছেন ? নিশার ছায়া ক্রমে গভীরতর হইতেছে, সেই সন্নিগ্ধ ছাঁয়ায় মনুষ্য, জীব, জন্তু, সমগ্র জগৎ সপ্ত হইয়াছে। দগে" শব্দমাত্র নাই, কেবল মধো মধ্যে প্রহরিগণের শব্দ শুনা যাইতেছে, ও প্রহরে প্রহরে ঘণ্টারব সেই নিস্তব্ধ দাগে ও চতুদ্দিকস্থ পব্বতে প্রতিহত হইতেছে। এ গভীর অন্ধকার রজনীতে রঘুনাথ অনিদ্র হইয়া কি চিস্তা করিতেছেন ? রঘুনাথ অদ্য কেন সেই উদ্যানে পদচারণ করিতেছেন তাহা রঘুনাথ জানেন না। এতদিন রঘুনাথ বালক ছিলেন, আদ্য ষেন সহসা তাঁহার শান্ত, নীল, জীবনাকাশের উপর একটী নতন আলোক উদিত হইল, তাঁহার সাপ্ত চিন্তা ও বেগবতী মনোবত্তি সহসা জাগরিত হইল। শত বার সেই রাজপতবালার আমন্দময়ী মাত্তি তাঁহার মনে আসিতে লাগিল, সেই আলেখ্যলিখিত প্রায়গল, সেই পাপবিনিন্দিত মধ্যময় ওঠে, সেই নিবিড় কেশপাশ, সেই সগোল বাহযোিগল, ్చు (ER