বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रशाब्राष्ट्ठे झाँबम-टाखाएख প্রার্থনা করেন ? হাকিম উত্তর করিলেন,—সম্রাটের আদেশ অনুসারে রোগীর চিকিৎসা করিতে আসিয়াছি। সসম্মানে প্রহরিগণ পথ ছাড়িয়া দিল। শিবজী শয্যায় শয়ন করিয়া আছেন, তাঁহার ভূত্য সংবাদ দিল যে সম্রাট একজন হাকিম পাঠাইয়া দিয়াছেন। তীক্ষাবৃদ্ধি শিবজী তৎক্ষণাৎ বিবেচনা করিলেন, কোনরপে বিষপ্রয়োগের জন্য সমাট এ কাণ্ড করিতেছেন। তিনি ভূত্যকে আদেশ করিলেন,—হাকিমকে আমার সেলাম জানাইও ও বলিও হিন্দী কবিরাজে আমার চিকিৎসা করিতেছে, আমি হিন্দ, অন্যরাপ চিকিৎসা ইচ্ছা করি না। সম্রাটের এই অনগ্রহের জন্য আমার কোটি কোটি ধন্যবাদ জানাইবে। ভূত্য এই আদেশ লইয়া ঘর হইতে বহিগত হইবার পর্বেই হাকিম অনাহত হইয়া ঘরে প্রবেশ করিলেন। শিবজীর হৃদয়ে ক্ৰোধসঞ্চার হইল, কিন্তু তাহা সঙ্গোপন করিয়া তিনি অতি ক্ষীণ মন্দস্বরে হাকিমকে অভ্যর্থনা করিলেন ও শয্যাপাশ্বে বসিতে আদেশ দিলেন। হাকিম উপবেশন করিলেন। আকৃতি দেখিলে হাকিমের প্রতি কোন প্রকার সন্দেহ হইতে পারে না। বয়স অনেক হইয়াছে, অতি শুক্ল শ্ৰমশ্র লবিত হইয়া উরঃস্থল আবত করিয়াছে, মস্তকোপরি প্রকাণ্ড উষ্ণীষ, হাকিমের সবর ধীর ও গম্ভীর। হাকিম বলিলেন,—মহাশয়! ভূত্যকে আদেশ করিয়াছিলেন, তাহা শুনিয়াছি, আপনি আমার চিকিৎসা ইচ্ছা করেন না। তথাপি মানবজীবন রক্ষা করা আমাদের ধম্ম", আমি সবধক্ষম"সাধন করিব। শিবজী মনে মনে আরও কুদ্ধ হইলেন, ভাবিলেন এ বিপদ কোথা হইতে আসিল ? কিছর বলিলেন না। হাকিম। আপনার পীড়া কি ? কাতরস্বরে শিবজী বলিলেন,—জানি না এ কি ভীষণ পীড়া ! শরীর সব্বদাই অগ্নিবৎ জম্বলিতেছে, হৃদয়ে বেদনা, সব্বস্থিানে বেদনা। হাকিম গম্ভীর সবরে বলিলেন,—পীড়া অপেক্ষা জিঘাংসায় শরীর অধিক জনলে, হৃদয়ের বেদনা অনেক সময় মানসিক ক্লেশসঞ্জাত। আপনার কি সেই পীড়া ? বিস্মিত ও ভীত হইয়া শিবজী এই অপরপ হাকিমের দিকে চাহিলেন, মুখ সেইরাপ গম্ভীর, কোন ভাববৈলক্ষণ্য লক্ষিত হইল না। শিবজী নিরক্তের হইয়া রহিলেন। হাকিম তাঁহার হস্ত ও শরীর দেখিতে চাহিলেন । শিবজী আরও ভীত হইলেন, অগত্যা হস্ত ও শরীর দেখাইলেন। অনেকক্ষণ অতিশয় মনোনিবেশপবেক দটি করিয়া হাকিম উত্তর করিলেন-আপনার বচন যেরপে ক্ষীণ, নাড়ী সেরাপ ক্ষীণ নহে, ধমনীতে শোণিত সজোরে সঞ্চালিত হইতেছে, পেশীগুলি পাববৎ দঢ়বদ্ধ। আপনার এ সমস্ত কি প্রবঞ্চনা মাত্র ? পুনরায় বিস্মিত হইয়া শিবজী এই অপবে চিকিৎসকের দিকে চাহিলেন, চিকিৎসকের মুখমন্ডল গম্ভীর ও অকম্পিত, কোনও কপট ভাব লক্ষিত হইল না। শিবজীর শরীরে ক্রমে উষ্ণ শোণিত সঞ্চালিত হইতে লাগিল, কিন্তু ক্রোধ সম্বরণ করিয়া পনরায় ক্ষীণস্বরে বলিলেন, --আপনি যেরপে আদেশ করিতেছেন, অন্যান্য চিকিৎসকগণও সেইরাপ বলেন। এ মহৎ পীড়া বাহালক্ষণশন্য, কিন্তু দিনে দিনে তিল তিল করিয়া আমার জীবন নাশ করিতেছে। হাকিম ক্ষণেক চিন্তা করিয়া বলিলেন—“আলফলায়লা ও লায়লন" নামক আমাদের চিকিৎসাশাস্ত্র আছে, তাহাতে এক সহস্ৰ এক পীড়ার বিষয় নিন্দেশ আছে, তাহার মধ্যে কয়েকটী বাহালক্ষণশান্য পীড়ার চিকিৎসার কথা লিখিত আছে। একটীর চিকিৎসা “বকুসতনে আসিরী ইশারাৎ কক্ষদর্শ।” কয়েদিগণ কাজ না করিবার জন্য যে পীড়ার ভাণ করে, তাহার চিকিৎসা শিরশেছদন। আর একটী পীড়ার নাম “দিগরান দোজথ এখতিয়ার কুনন্দ।" যুবকগণ এই পীড়ার ভাণ করিয়া নরক-পথগামী হয়, তাহার ঔষধি পাদকো প্রহার। তৃতীয় এক প্রকার বাহ্যলক্ষণশন্য পীড়া আছে, তাহার নাম “আয়েবহ বরগেরেফতা জেরেবগল।" প্রবঞ্চকগণ নিজ প্রবণ্টনা গোপনাথ এই পীড়ার ভাণ করে। তাহারও ঔষধি নিন্দেশ আছে, আমি সেই ঔষধি আপনাকে দিতেছি। শিবজী এ সমস্ত শাস্ত্রকথা বিশেষ বুঝিতে পারিলেন না, কিন্তু হাকিম তীক্ষাবৃদ্ধি ও २२$