পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত রঘুনাথের কি আছে ? প্রাণের লক্ষী! তোকে কিরাপে বিদায় দিব, তোকে ছাড়িয়া আমি কিরাপে জীবন ধারণ করিব ? আত্তনাদ করিয়া রঘুনাথ ভূমিতে পতিত হইলেন। অনেক যত্ন করিয়া লক্ষী রঘুনাথকে উঠাইলেন, পনরায় চক্ষের জল মছাইয়া দিলেন। অনেক সাস্তুনা করিলেন, অনেক বুঝাইলেন, বলিলেন,—ভাই, তুমি বীরশ্রেষ্ঠ, পরষের যাহা ধৰ্ম্ম তাহা তুমি পালন করিতেছ, তোমার লক্ষয়ীকে নারীর ধৰ্ম্ম পালন করিতে দাও। আর বিলম্ব ཧྰ་མྰ་ཡྰ ༈།.གས། ཏཻ་༦ ག། ། ঐ দেখ পবেদিকে আকাশ রক্তবণ হইয়াছে, তোমার লক্ষয়ীকে य का९१ ।। গদগদ স্বরে রঘুনাথ বলিলেন,—লক্ষী, প্রাণের লক্ষয়ী, এ জগতে তোমাকে বিদায় দিলাম, ঐ আকাশে, ঐ পণ্যেধামে আর একবার তোমাকে পাইব । সে পৰ্য্যন্ত জীবন্মত হইয়া রহিলাম। ভ্রাতার চরণধলি লইয়া লক্ষয়ী চিতাপাশ্বে যাইলেন, স্বামীর পদদ্বয়ে মস্তক স্থাপন করিয়া বলিলেন,–হৃদয়েশ্বর ! জীবনে তুমি বড় ভালবাসিতে, এখন অনুগ্রহ কর, যেন তোমার পদপ্রান্তে বসিয়া তোমার সঙ্গে যাইতে পারি। জলম জন্ম যেন তোমাকে স্বামী পাই, জন্ম জন্ম যেন লক্ষয়ী তোমার পদসেবা করিতে পায়। ধীরে ধীরে লক্ষয়ী চিতা আরোহণ করিলেন, স্বামীর পদপ্রান্তে বসিলেন, পদদ্বয় ভক্তিভাবে অঙ্কের উপর উঠাইয়া লইলেন। নয়ন মাদ্রিত করিলেন, বোধ হইল যেন সেই মহেনত্তেই লক্ষীর আত্মা সবগে প্রবেশ করিল। অগ্নি জলিল; অতিশয় ঘত থাকায় শীঘ্র অগ্নি ধন ধন শব্দে জনলিয়া উঠিল। প্রথমে অগ্নিজিহৰা লক্ষয়ীর পবিত্র শরীর লেহন করিতে লাগিল, শীঘ্রই সতেজে চারিদিক বেস্টন করিয়া লক্ষমণীর মস্তকের উপর উঠিল, নৈশ গগনের দিকে মহাশব্দে ধাবমান হইল। লক্ষয়ীর একটী অঙ্গ নড়িল না, একটী কেশ কম্পিত হইল না। ২89