পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभव्ष ब्रध्नाबलौ চারণের উগ্র বর শনিয়া পাপ স্তম্ভিত হইলেন ! ধীরে ধীরে চারণদেব নিকটে আসিয়া পাপকে জিজ্ঞাসা করিলেন—এ গীত দেবীর মনোনীত হইয়াছে ? - পাপ চকিতের ন্যায় দণ্ডায়মান রহিলেন । অনেকক্ষণ পর বলিলেন,-চারণদেব, এ গীতের অথ বুঝিলাম না, পাবদিনে আপনি এরপে গীত গান নাই। সে কোমলস্বরে প্রস্তর দ্রবীভূত হইত, চারণের হৃদয় হইল না। তিনি কহিলেন;–গীত আমার নহে, আমি ষেরপ শিক্ষিত হই, সেইরাপ গাই। পম্পে। যিনি আপনাকে গীত শিখাইয়াছেন, তিনি কুশলে আছেন? চারণ। কুশলে নাই, তিনি কুস্বপ্নে অতিশয় প্রপীড়িত হইয়াছেন। আপনাকে যে নিদশনটী , তাহা একবার দেখিতে চাহিয়াছেন। পম্পে এবার যথাথ ভীতা হইলেন। তিনি চারণদত্ত অঙ্গরীয়টা হৃদয়ে রাখিতেন, সব্বদা দেখিতেন, সব্বদা পরিতেন, পনরায় হৃদয়ে রাখিতেন। কিন্তু যেদিন তিনি ভীমচাঁদ ভৗলের গহবরে নীতা হইয়াছিলেন, সেদিন হইতে সেই অঙ্গরীয়টী তিনি খুজিয়া পান নাই। চারণ কম্পিত্যবরে জিজ্ঞাসা করিলেন—সে অঙ্গরীয়টী কোথায় ? পম্পে স্তব্ধ ও নিরক্তের। অধিকতর ক্রুদ্ধস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন—সে অঙ্গরীয়টা কোথায় ? অসফটম্বরে পাপ কহিলেন-চারণদেব, অনবধানতা মাজ’না করন, বীরপরষকে চারণ গজন করিয়া তৃতীয়বার এই প্রশনটী করিলেন—সে অঙ্গরীয়টী কোথায় ? পাপ। আমি অভাগিনী, সে অঙ্গরীয়ট হারাইয়াছি। চারণ। অভাগিনী ! তাহার সঙ্গে সঙ্গে তেজসিংহের প্রণয় এ জীবনের মত হারাইয়াছ! বিদ্যুৎ-গতিতে ছদ্মবেশী তেজসিংহ নয়নের অদশ্য হইলেন । দ্বারিংশ পরিচ্ছেদ : পৈতৃক দগে প্রবেশ ততো ভেরী মৃদঙ্গানাং পণবানঞ্চ নিঃসবনঃ। শঙ্খনেসিস্বমনীমিশ্রঃ সর্বভুবাঙ্গতোপমঃ ॥ —রামায়ণম | রজনী দ্বিপ্রহরের সময় তেজসিংহ ভীমগড় দাগে ফিরিয়া আসিলেন। মনে মনে কহিলেন,— —চপলা নারীর জন্য বহুদিন ব্যথ কাটাইয়াছি, অদ্য কায্যে প্রবত্ত হইব। দ্বিপ্রহর রজনীতে চারিদিকে সৈন্য রাশীকৃত হইতেছিল, তেজসিংহ তাহার মধ্যে যাইয়া কহিলেন—বন্ধগণ, বৈরনিৰ্য্যাতনের সময় উপস্থিত, আমার সহিত অগ্রসর হও । যাহারা তেজসিংহের সে গজন শুনিল, সে নিশীথে তাঁহার ললাটে প্রফুেটী দেখিল, তাহাদিগের তিলকসিংহের কথা স্মরণ হইল। নিঃশব্দে সকলে সয"মহলদগের দিকে চলিল । পৰ্বত ও উপত্যকার মধ্য দিয়া দ্বিপ্রহর রজনীতে নিঃশব্দে সৈন্যগণ চলিতে লাগিল। কখন জঙ্গলের ভিতর দিয়া, কখন হ্রদের পাশ্ব দিয়া, কখন অন্ধকারময় উপত্যকার নীচ দিয়া, কখন পব্বতের উপর দিয়া তেজসিংহের সৈন্য চলিল। যতক্ষণ সৈন্য চলিতেছিল, তেজসিংহের মুখে কেহ একটী কথা শ্রবণ করে নাই। সকলে বুঝিল, তিলকসিংহের পত্রের হৃদয়ে রোষানল জাগরিত হইয়াছে, অদ্য দুজয়সিংহের রক্ষা নাই। অনেক পৰ্বত ও উপত্যকা উত্তীণ হইয়া সেনা অবশেষে সয"মহলের সম্মুখে আসিল । উন্নত শেখর যেন কিরীটের ন্যায় দগকে ধারণ করিয়াছে, সেই পন্বত ও দাগ নৈশ আকাশপটে চিত্রের ন্যায় লক্ষিত হইতেছে! চারিদিকে কেবল পৰ্বতমালা ও অনন্ত পাদপশ্রেণী দেখা যাইতেছে, নৈশ অন্ধকারে সয"মহলদীগ নিস্তন্ধ, জগৎ নিস্তন্ধ। ক্ষণেক তেজসিংহ দণ্ডায়মান হইয়া দর হইতে সেই পৈতৃক দগ দেখিলেন, মনে মনে বললেন-পিতা অনুমতি দিন, অল্টাদশ বৰ নিশ্বাসনের পর আপনার পত্র অদ্য দগে প্রবেশ করিবে। নিঃশব্দে সৈন্যগণ সয"মহলতলে উপস্থিত হইল। এ নিস্তন্ধ নিশীথে অসতক শয়কে ●> {f