পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कब्रझा बाँव्वप्नन, “যাও, অনেক মারি হয়েছে তুমি খাওয়াদাওয়া করগিয়ে।" জগতের মধ্যে कडूध नब्रिटकन * sाववादनत्र कथा | রারি প্রভাত হইয়াছে। উবা তরণী গহিণীর ন্যায় সংসারকায্যের জন্য জগতে সকলকে উঠাইলেন, সকলকে নিজ নিজ কায্যে প্রেরণ করলেন। মাতা বেরপে কন্যাকে সন্দের রাপে সাজাইয়া দেন, সেই রূপ সন্দের সাজ পরিধান করিয়া উষা আকাশে দশন দিলেন। হাস্যমুখী তরণীর প্রণয়াভিলাষে প্রণয়ী সাব্য অচিরেই উদিত হইলেন, উষার পশ্চাতে ধাবমান হইলেন। তাঁহার উজ্জবল কিরণরপে সপ্ত অশ্ব রথে সংযোজিত করিয়া সেই জলস্তকেশী সবিতা আকাশমাগে ধাবমান হইলেন, আকাশ আলোকে পণ করিলেন, জগতে সংজ্ঞাশনাকে সংজ্ঞা দান করিলেন, রপেশনাকে রপে দান করিলেন। উষা ও সৰ্য্যোদয়ের শোভায় বিস্মিত হইয়া চারি সহস্ৰ বৎসর পাবে আমাদিগের প্রাচীন ঋগ্বেদের ঋষিগণ এইরুপ সন্দের কল্পনা দ্বারা সে শোভাটী বর্ণন করিয়া গিয়াছেন; সেরাপ সরল, সন্দের এবং প্রকৃতির আলোকে আলোকপণে কবিতা তাহার পর আর রচিত হয় নাই। হেমচন্দ্র প্রাতঃকালে গাত্রোথান করিলেন এবং বাটী হইতে বাহির হইলেন। গ্রামের বক্ষপত্র · ও কুটীরগুলি সায্যের লোহিত আলোকে শোভা পাইতেছিল, গ্রাম্য পাপগুলি বক্ষে, ঝোপে বা জঙ্গলে ফটিয়া রহিয়াছে, এবং প্রাতঃকালের পাখীগুলি নানাদিক হইতে রব করিতেছে। গহস্থের মেয়েরা অতি প্রত্যুষে উঠিয়া ঘরদ্ধার ও প্রাঙ্গণ ঝাঁট দিয়া পাকুর হইতে কলস করিয়া জল আনিতেছে অথবা রন্ধনাদি আরম্ভ করিতেছে। বালকগণ পাঠশালায় বা খেলায় যাইতেছে, কৃষকগণ লাঙ্গল ও গর লইয়া মাঠের দিকে যাইতেছে। হেমচন্দ্রও আজি নিজের জমিখানি দেখিতে যাইবেন মানস করিয়াছিলেন। ছায়াপণে গ্রাম্য পথ দিয়া- কতকদরে আসিয়া হেমচন্দ্র একজন কৃষকের বাড়ীর সমখে প'হছিলেন; কৃষকের নাম সনাতন কৈবত্ত । সনাতন কৈবত্তের একখানি উচ্চ ভিত্তি-ওয়ালা ঘর ছিল, তাহার পাশ্বে একখানি ঢেকির ঘর ও একখানি গোয়ালঘর, তথায় ৪ । ৫টী গরম ছিল। উঠানেই উন্ন, পাশ্বে একখানি চালা uB BBBB BB BB u u DD DBS BB BB uB BBB BBBB কাঁটা, গাছ ও জঙ্গল, এক স্থানে একটা বড় খানা আছে, তাহাতে বৎসরের গোবর সঞ্চিত হয়, চাষের সময় উপকারে লাগে। গোয়ালঘরের পাশে গাড়ীর দরখানা চকা ও থান দুই লাঙ্গল পড়িয়া আছে, এবং বাড়ীর পশ্চাতে একটা ডোবার ন্যায় ময়লা পক্সের আছে। আমাদের বলিতে লজা করে যে এক্ষণকার নতন মিউনিসিপাল আইন ও নিম্ন শিক্ষা সত্ত্বেও সনাতনের ' প্রণয়িনী এই ডেবাতেই যে কেবল বাসুন ধাইতেন এমন নহে, তাঁহার স্নান ও কাপড়কাচাও এইখানে হইত, এবং তাঁহার হৃদয়েশ্বরের পানের জল ও সংসারের রান্নার জলও এই পর্কুেরের। হেমচন্দ্র আসিয়া সনাতনকে ডাকিলেন। সনাতনের তখন নিদ্রাভঙ্গ হইয়াছে, তবে গারোখান রাপ মহৎ কায্যের উদ্যোগপন্বে রত ছিল, দই, একবার এ পাশ ও পাশ করিতেছিল, দই :::::: সহিত, “পোড়ারমুখী এখনও এখনও মাগীর ঘমে ভাঙ্গল না বুঝি” ইত্যাদি মিস্টালাপ করিতেছিল, এই নৈতিক বস্তৃতার মধ্যে সনাতন হেমচন্টের ডাক শনিল। গলাটা মহাজনের গলার ন্যায়, অতএব বৃদ্ধিমান সনাতন সহসা উঠিল না। আবার ডাক, তৃতীয়বার ডাক, সতরাং সনাতন কি করে, একটা উপায় করিতে হইল। বিপদআপদে । সনাতনের একমাত্র উপায় তাহার গরীয়সী সহধৰ্ম্মিণী, অতএব তাহাকেই একটা অননেয় করিয়া | বলিল, “এই দরজাটা খালে উকি মেরে দেখ ত কে এসেছে ? যদি হারাণ সিকদার মহাজন হয়, তবে বলিস, বাড়ী নেই।” সনাতনের প্রণয়িনী প্রিয় স্বামীর “পোড়ারমখী” প্রভৃতি মিন্টালাপ শনিয়া এতক্ষণ চুপ করিয়াছিলেন, এখন সময় পাইলেন। বোমীর কথাটা শনিয়া আন্তে স্বাস্তে পাশ ফিরিয়া শুইলেন। একটী হাই তুলিয়া সনাতনের দিকে পিছন করিয়া অসঙ্কুচিত চিত্তেf আর একবার, নিদ্রা গেলেন। ළු ෆ්‍රො