পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्ञश्च ब्राऊनाबजौ (ভয়ানক কাশি) উঃ (কাশি) সে পণ্ডিত ? সেই স্বধৰ্মবিদ্বেষী, লেচ্ছদিগের অনকেরণকারী, (অনবরত কাশিতে বাক্যস্নোত সহসা রদ্ধে হইল তখন আসন পরিত্যাগ করিয়া) চল হে সংরক্ষক মহাশয়, এ বাড়ীতে আর থাকা নহে, এখানে পদবিক্ষেপ করিলেও পাপ আছে। সুলিন ন স ক ল তত তো লে সংবাদ দিও। হেমচন্দ্র ক্রুদ্ধ হইলেন না, দিগগজ ঠাকুরের ক্রোধ ও অঙ্গভঙ্গী দেখিয়া তাঁহার একট হাসি আসিল । সেদিন সমস্ত দিন হেমচন্দ্রের পরামর্শের অভাব রহিল না। তাঁহার এত বন্ধ আছে, এত হিতৈষী আছে, এত পরামর্শদাতা আছে, তাহা পীড়ার সময়, কস্টের সময়, দারিদ্যের সময়, হেমচন্দ্র অনুভব করেন নাই । কলিকাতা হইতে বালিগঞ্জ পৰ্য্যন্ত এ কথা রাষ্ট্ৰ হইল। ধনজরবাবর বাগানে সসভ্য সভা হইয়াছে, গীত, নৃত্য, সন্ধা ও দিবার ন্যায় ঝাড়ের আলোক সেই সভাকে রঞ্জিত করিতেছে। তথায় দরিদ্রের এই কথাটী উঠিল। ধনঞ্জয়বাব শ্যালীর কলঙ্ক সম্বন্ধে আর কোন উপহাস করিলেন না, একটা হাসিলেন; কিন্তু অন্যান্য ধামিকগণ এ ধম্মবহিভূত কায্যের কথা শুনিয়া শিহরিয়া উঠিলেন। হিন্দধন্মের স্থলে স্তম্ভস্বরপে হরিশপ্তকরবাব একেবারে অবাক হইয়া গেলেন, তাঁহার হস্ত হইতে সধোপাত্র পড়িয়া শতখন্ড হইয়া গেল, বলিলেন, “হা ধৰ্ম্ম ! তোমাকে কি সকলেই বিস্মত হইল ? ভদ্রলোকের ঘরে এ কি অধম আচরণ ? হিন্দুয়ানি আর বুঝি থাকে না।” শিক্ষিত যদনাথের হস্ত হইতে কাঁটা ছরি পড়িয়া গেল, সম্মুখের গো-জিহদা অনাস্তবাদিত রহিল, তিনি বলিয়া উঠিলেন, “আর বঝি ন্যাশনালিটি থাকে না!” বিশ্বম্ভরবাব, সিদ্ধেশ্বরবাব, গিদ্ধেশ্বরবাব প্রভৃতি বনিয়াদী ধনাঢ্যগণ নিজ নিজ আসনে কপিত হইলেন, এই ঘোর অধমের নাম শুনিয়া তাঁহারা বাকশক্তিরহিত হইলেন, এবং তাঁহাদের কালের লোকের ধম্মানষ্ঠোনের কথা eieB BBB BBB BB BBB BBB Bu গলেন । পাশ্চাত্ত্য সভ্যতার অবতার “মিটার কমাকার"ও তাঁহার সারগভ মত প্রকাশ করিলেন যে, “এরপ বিধবাবিবাহ পাশ্চাত্ত্য সভ্যতার অনুমোদিত নহে, এ পাশ্চাত্ত্য সভ্যতার বিড়ম্ববনা মাত্র। বিধবা বাহির হইয়া আসকে, জগৎ পরিদর্শন করকে, সসভ্য, সরোপ যবেকদিগের সহিত আলাপ করকে, (দপণে নিজ প্রতিমাত্তি দশন) তৎপর দীঘ কোটশিপের পর, একজনকে নিৰ্বাচন করকে, এইরুপ কাৰ্য্য পাশচাত্ত্য সসভ্য প্রথা ; পিঞ্জরাবদ্ধ বিধবাকে বিবাহ দেওয়াই পাশ্চাত্ত্য সভ্যতার অবমাননা মাত্র ! এই সারগভ হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা শুনিয়া সভার সভ্যাগণ বলিয়া উঠিলেন, “তাঁহারা ত জগৎ পরিদর্শন করিয়াছেন এবং সরচিসম্পন্ন যবেকদিগের সহিতও আলাপ করিয়াছেন, অতএব তাঁহাদের একটী করিয়া পাশ্চাত্ত্য সভ্যতা (অর্থাৎ সন্দের বর) মিলে না কেন ? তাঁহাদের একটি করিয়া বিবাহ ঘটে না কেন ?" সভ্য ও সভ্যাদিগের মধ্যে এ রসের কথাটা সাধার সঙ্গে সঙ্গে অনেক দরে গড়াইল, কিন্তু পাঠকগণ আমাদিগকে মাতজনা করিবেন, আমরা সে সমস্ত কথা লিপিবদ্ধ করিতে অক্ষম। বিশ্বজগতের পরামশ", মতামত, বিদ্রপ ও দোষারোপ হেমচন্দ্রের কাণে উঠিল। সন্ধ্যার সময় হেমবাব বিন্দর নিকট গিয়া বলিলেন,—সমাজ একমত হইয়া এই বিধবাবিবাহ নিবারণ করিতেছে, এ কাষ" করিতে আমার ইচ্ছা নাই। যাঁহাদের বিদ্যা আছে, যাহাদের বিদ্যা নাই, যাঁহারা সংলোক, যাহারা সৎলোক নহে, যাঁহাদের শ্রদ্ধা করি, এবং যাহাদের শ্রদ্ধা করি না, সকলে একমত হইয়া এ কায্য নিষেধ করিতেছেন। বিন্দর। আর তা ছাড়া এ কাজে কলঙ্ক কত, নিন্দা কত ! এ কাজ করলে সমাজে আমাদের অতিশয় নিন্দা হবে। { হেম । না, তাহার বড় ভয় নাই। সমাজ অনুগ্রহ করিয়া আমাদের সম্বন্ধে যে কলঙ্ক বিশ্বাস ছেন ও রটাইতেছেন, তাহা অপেক্ষা অধিক কলঙ্ক হইবার সম্ভাবনা নাই। বিধবাবিবাহে 8O &