বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবরে অন্যান্য পরামশদাতা আসিল, অনেক পরামর্শ করিয়া কাব্যপ্রণালী স্থির হইল। বন্ধমানে ఘె नभश्ड ठिक एईठन, গোপবালা তালপুকুরে ফিরিয়া গেলেন, এবং সন্ধ্যার সময় কামিনীকান্তবাব মহাসমারোহে শিবিকায় আরোহণ করিয়া সনাতনবাটী ত্যাগ করিলেন। রমাপ্রসাদ ও দেবীপ্রসাদ খাইতে বসিয়াছেন, এমন সময় মহাসমারোহে শিবিকা চলিয়া গেল। দেবীপ্রসাদ বলিল,—ঐ জমিদারমহাশয় যাইতেছেন। কয়েকমাস হইতে তাঁহার শরীর নিতান্ত অসুস্থ ও দ্রব্বল হইয়াছে। শনিয়াছি, বায় পরিবত্তনের জন্য পশ্চিম যাইতেছেন। রমাপ্রসাদ। দেবী, তুমি ভুল শনিয়াছ। আমাদিগকে একটী ঘোর সঙ্কটে ফেলিবার জন্য বৃদ্ধিমান জমিদার কলিকাতা ষাইতেছেন। बिरल नब्रिटऋन * नद्गर्भाऊबाबद्भन्न वळेकथाना কলিকাতার সপ্রসিদ্ধ এটনী সন্মতিবাবর বৈঠকখানাটী বড় ফিটফাট। অধিক ঝাড়লন্ঠনের আড়ম্বর নাই, কেবল ঘরের মধ্যে তিন ডালওয়ালা শেন্ডেলীয়রে গ্যাস জলিতেছে, আর লিখিবার টেবিলের উপর আসলরের বাড়ীর একটী পরিকার রিডিং ল্যাপ। দেওয়ালে বিবস্ত্রা অপ্সরাদিগের ছবির ধামধাম নাই, খানচারেক সন্দের দশ্যের ছবিমাত্র-পব্বত, সমদ্র, হ্রদ ও পল্লীগ্রামের ছবি। মমীর-প্রস্তরের উপকরণাদির অধিক ছড়াছড়ি নাই, কেবল একটা পরিকার লিখিবার টেবিল, কয়েকখানি চৌকি, দইটী সোফা ও একখানি ইজি চেয়ার। কাপোট, গালিচার আড়ম্বর নাই, ঘরের মেজে নতন মাদর দিয়া ঢাকা। নানাপ্রকার মসোহেব ● লোকদ্বারা সে ঘর পণ নহে, সন্মতিবাবরে ঘরে অলপ কয়েকজন বাছা বাছা বন্ধ মাত্র। ধনী বলিয়া সমতিবাব পরিচয় দেন না, দেখিলে শুনিলে তাঁহাকে বৃদ্ধিজীবী চতুর লোক বলিয়াই বোধ হয়। সন্ধ্যা হইয়াছে, বাতি জনলিতেছে, বন্ধগণ কথাবাত্তা ও মিস্টালাপ করিতেছেন। তাঁহাদের মধ্যে দুই একজন বন্ধ আমাদের পরিচিত। ধনপরের ধনঞ্জয়বাবরে আর পাবের ন্যায় ধন নাই। বিষয় অনেক হাতছাড়া হইয়াছে, অবশিস্ট বিষয় ঋণের জন্য আবদ্ধ হইয়াছে, লোকে কাণাকাণি করে, ধনঞ্জয়বাবরে অধিকাংশ ধনই সক্ষমবৃদ্ধি সন্মতিবাবরই হস্তগত হইয়াছে! ধনঞ্জয়বাব এই দ্বিতীয় গহিণীতে সখী হয়েন নাই, উপ-গহিণীগণ গন্ধপালের ন্যায় মাংসশন শব ত্যাগ করিয়া অন্য শব অন্বেষণে উড়িয়া গিয়াছে, সখের বাগান বিক্রয় হইয়া গিয়াছে, সতরাং ধনঞ্জয়বাব এই সন্মতিবাবর বৈঠকখানাতেই আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন। সন্মতিবাক অভদ্র লোক নহেন, যাঁহার সব্বস্ব শোষণ করিয়াছেন তাঁহাকে একেবারে তাচ্ছিল্য করেন না। বৈঠকখানার পাশ্বে ধনঞ্জয়বাব বসিয়া থাকেন, সন্মতিবাবর অনগ্রহে একট একট হাইস্কী পান করেন, সন্মতিবাবরে মিস্ট কথায় আপনাকে সমাদত বোধ করেন। ধনঞ্জয়বাবর পর্বেবৎ রপে নাই, যৌবন-লক্ষণ নাই, অকালেই চক্ষর জ্যোতিঃ কমিয়া গিয়াছে, মাথার চুল কিছু কিছু শ্বেতবর্ণ হইয়াছে, হাতে হাইস্কার গ্রাস একট একট কাঁপিতেছে। ধনঞ্জয়বাবরে পড়বের কাল জড়ী ও সাদা জড়ীর পরিবত্তে একটী অনাহারী ঘোড়ায় গাড়ী টানে, সইস কোচমানগণও প্রায় অনাহারী হইয়া আসিয়াছে, সতরাং বেশ ছিন্ন, তকমা মলিন। সম্প্রতি তারিণীবাবর মৃত্যু হইয়াছে শনিয়া ধনঞ্জয়বাবরে নতন বিষয়লাভের একটা আশা হইয়াছে। সন্মতিবাবরে নিকট পরামশ লয়েন, সন্মতিবাবর ন্যায় পরামর্শদাতা কলিকাতায় কয়জন আছে ? কয়েকজন নব্য জমিদারও আজ সন্মতিবাবরে নিকট আসিয়াছেন। কেহ এখনও নাবালক, শীঘ্রই বয়ঃপ্রাপ্ত হইবেন, ইতিমধ্যে টাকার বিশেষ প্রয়োজন হইয়াছে, সে প্রয়োজনসাধনে সন্মতিবাবর ন্যায় আর কে পণ্ডিত আছে ? কেহ মত জ্ঞাতির বিষয়টুকু লইবার জন্য লোলুপ হইয়াছেন, নানারাপ মকদ্দমার আয়োজন করিতেছেন, একখানি উইল (কিরাপে সন্ট তাহা • আমরা জানি না) সন্মতিবাবকুে দেখাইতে আসিয়াছেন। কেহ বিলাস-সাগরে নবীন শরীর চড়ামণি সন্মতিবাবরে সহিত মিন্টালাপ করিতে আসিয়াছেন। কেহ আগামী শনিবারে বাগানে aگی Sے