পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জরটর হইলে কুইনাইন বাজারের দূরের দেড়া দরে বিক্রয় করেন; এবং কামিনীকাস্তবাবর মসোহেবি করেন, কলিকাতা হইতে বাই-নাচ আনিতে হইলে তিনিই কলিকাতায় গিয়া আয়োজন _ করেন। ডাক্তারবাব আরও স্বীকার করিলেন যে তারিণীবাবর মৃত্যু বড় সহসা হয় নাই, সন্দেহের বিশেষ কারণ ছিল না, বিশেষ কারণ থাকিলে আমি থানায় সংবাদ অবশ্য দিতাম ! তাহার পর উইলের সাক্ষী কীটপ্রশেন প্রকাশ করিলেন,-আমি সনাতনবাটীতে থাকি, কামিনীকান্তবাবর আশ্রিত লোক। তালপুকুরে বড় যাই না, কেবল উইল করিবার দিন গিয়াছিলাম মাত্র। রমাপ্রসাদ তারিণীবাবকে উইল করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন তাহা নিজের কণে শনি নাই, সনাতনবাটীতে এইরুপ লোকের মুখে শনিয়াছি মাত্র ! যে পরিচারিকাসুন্দরী বিষকচু বাটার প্রমাণ দিয়াছিলেন, তিনি কটপ্রশেন প্রকাশ করিলেন, —আমি কস্মিনকালেও তারিণীবাবর বাটীতে দাসী ছিলাম না, গোপবালার বাপের বাড়ীর দাসী। তারিণীবাবর মৃত্যুর দিন সে বাড়ীতে গিয়াছিলাম, এবং সেই মল্লিকদের বাটীতে শয়ন করিয়াছিলাম। দ্বিপ্রহর রাল্লিতে বিষকচু বাটিবার আবশ্যক হওয়ায় বাড়ীর দাসীদের না বলিয়া সন্ন্যাসী ঠাকুর আমাকেই ডাকিয়া বিষকচু বাটিতে বলিয়াছিলেন । কেননা আমি বড় বিশ্বাসী পরাতন ঝি! তাহার পর পাত্র কোথায় ছিল জানি না, বিষকচুর শিকড় কোথায় ছিল জানি না, দারোগা মহাশয় বাটি ও শিকড় খুজিয়া বাহির করাতে আমি তাহা সনাক্ত করিয়াছি মাত্র ! - কাছারীতে যে পাত্র আছে, সে সেই পাত্র বলিয়া বোধ হইতেছে, ঠিক বলিতে পারি না। তাহার পর দারোগা মহাশয়ের জবানবন্দী,—বদ্ধমানের সমস্ত লোক সে জবানবন্দী শুনিতে কাছারী ঘরে ঝোঁকে আসিল। দারোগা মহাশয় কটপ্রশেন প্রকাশ করিলেন,—আমার বাড়ী বাখরগঞ্জ জেলায়, আগে বাখরগঞ্জের কোন দারোগার ভাণ্ডারী অথাৎ ভূত্য ছিলাম। সেই দারোগা বাঁকুড়া জেলায় বদলী হইলে তাহার সহিত আইসি, এবং তথায় ভান্ডারী কাজ ছাড়িয়া দিয়া কুলীর কন্ট্রাক্টর হই। তাহাতে বিস্তর লাভ হয়, কিন্তু একটী বিবাহিতা সত্রীকে বাহির করিয়া কুলী করিয়া চালান দেওয়ায় ধরা পড়ি, ও সে বিষয়ে মকদ্দমা হয়। মকদ্দমায় অব্যাহতি পাই, কুলীর কায্য ছাড়িয়া দিয়া পুলিশে কনেটবল হইলাম। এই মকদ্দমার তদন্ত বসিয়াই হইয়াছে, তথাকার সদর নায়েব মহাশয় সমস্ত সাক্ষী জোগাড় করিয়া দিয়াছেন, এবং তদন্তে বিশেষ সাহায্য করিয়াছেন। বিষকচুর শিকড় তারিণীবাবরে বাড়ীতেই পাওয়া যায়, পাত্রও তথায় পাওয়া যায়। দাসী দিয়াছিল কি, কি প্রকারে পাওয়া যায়, তাহা ঠিক সমরণ নাই! বাখরগঞ্জের দারোগার নিকট দশ বৎসর ভাণ্ডারী কায্য করিয়াছি, সে অবকাশে তথাকার পলিশের কায্য অনেক দেখিয়াছি। শেষ সাক্ষী যিনি লাশ জৰালাইবার সময় রমাপ্রসাদ ও হেমের কথোপকথন শুনিয়াছিলেন, তিনি তালপুকুর গ্রাম কিরাপ, মশানভূমি কোথায়, কিছুই বলিতে পারিলেন না! আরও কীটপ্রশেন প্রকাশ পাইল, তিনি কলিকাতায় কামিনীকান্ত মহাশয়ের বাগানবাড়ীর একজন ভূত্য ! এইরুপ সমস্ত কথা প্রকাশ হওয়াতে মাজিস্ট্রেট সাহেব কলম রাখিয়া দীঘ শমশ্র কন্ডয়ন করিতে আরম্ভ করিলেন । তিনি স্বভাবতঃ কিছু উগ্র, কিছু ক্ষিপ্র, কিছর বাস্তচিত্ত, কিন্তু তিনি বৃদ্ধিশন্যেও নহেন, হৃদয়শন্যেও নহেন,—মকদ্দমার এরপে অবস্থা দেখিয়া তিনি চিন্তিত হইলেন, u BBBB BB BB BB DuB BBBD Du BBBD DDu দেখিয়া দারোগা বাবর মুখ শুকাইল, বারাণ্ডায় গিয়া বসিয়া পড়িলেন, দীননাথ কনেটবলকে পলকুর থেকে এক ঘটী জল আনিতে বলিলেন! চন্দ্রনাথ তখন আদালতকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন,—আসামী নিরপরাধী, নিতান্ত ধমপরায়ণ লোক, অতিশয় কুলোকের মিথ্যা চক্রান্তে পড়িয়া এই কষ্টভার, এই কলণ্ডকভার বহন ुर अन्त असिल िदन स्वयन गिरदै आो पित्रा अश प्रिथ्य सिन्ध } মাজিস্ট্রেট সাহেব তখনও শমশ্রন-কন্ডয়ন ও চিন্তা করিতে লাগিলেন। চন্দ্রনাথ পনেরায় বললেনু-সাক্ষিগণ সকলেই কামিনীকান্তের অন্যগত লোক, কামিনীকাস্তের উত্তেজনায় এ মকদ্দমার সচিট, কামিনীকাস্তের উত্তেজনায় সকল সাক্ষী আগাগোড়া মিথ্যা বলিয়া গিয়াছে! বিষকচুর গল্প সম্পণে মিথ্যা, বাখরগঞ্জবাসী এই দারোগা সে গল্পটী

  • * جمعیت

○>