পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ह्वट्टयथ ब्रफ़नावजी দেখিবার জন্য অনেকে ছটিয়া আসিল । সে গোলমালের মধ্যে কথাবাত্ত হওয়া অসম্ভব,--কেবল চন্দ্রনাথ, হেমচন্দ্র ও শরচ্চন্দ্রকে আলিঙ্গন করিয়া রমাপ্রসাদ আপনার হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা জানাইলেন। ঠিক হইল, সকলে মোক্তারের বাসায় যাইবেন, তথায় সন্ধ্যার সময় সকল বিষয়ে আলাপ হইবে। ইতিমধ্যে চন্দ্রনাথবাবা, শরৎবাব ও রমণীকান্তবাবকে ধরাধরি করিয়া বদ্ধমানেরউকিলগণ একজন প্রধান উকিলের বাড়ী লইয়া গেলেন, তথায় কিছ জলযোগ না করিলে তাঁহারা কিছুতেই ছাড়িবেন না। সুতরাং হেমচন্দ্ৰ একলাই মোক্তার মহাশয়ের বাসা জিজ্ঞাসা করিয়া তথায় উঠিলেন। হেমচন্দ্র মোক্তার মহাশয়ের বাটী দেখিলেন, কাছারী হইতে তখনও কেহ আইসেন নাই। সতরাং তিনি বাহিরের একটী ঘরে বসিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। ক্ষণেক পর পাশ্বের একটী ক্ষুদ্র অন্ধকার ঘরের কপাটটী খলিল, সেই ঘর দিয়া বাহিরবাটী হইতে ভিতরবাটী যাওয়া যায়। সেই অন্ধকার ঘরের ভিতর হইতে একটী সগোল দমদম ও তাবিজ-পরান বাহন দেখা গেল। মেয়েমানষেটি যাবতী ও ঘোমটা-দেওয়া—হেমচন্দ্র অন্যদিকে চাহিলেন । দমদম ও তাবিজের শব্দ হইল! হেমচন্দ্র চাহিয়া দেখিলেন, সেই মেয়েমানুষটী অঙ্গলেীদ্বারা হেমবাবকে সেই ঘরে আসিতে ইসারা করিতেছে! হেমবাব নিতান্ত ভদ্রলোক, একটা ইতস্ততঃ করিলেন, ভাবিলেন বদ্ধমানের মেয়েদের . এইরুপ আচার-ব্যবহার নাকি? তথাপি মেয়েট কি জন্য ডাকিতেছে জানা উচিত, সতরাং সেই ঘরে গেলেন। যাবতী কপাট বন্ধ করিল, খিল দিল! হেমবাব পাড়াগে’য়ে ভালমানষে—বদ্ধমানের মেয়ের হাতে পড়িয়া বড়ই বিপদে পড়িলেন। অন্ধকার ঘরে অপরিচিত যাবতীর সহিত এক মহত্তেও থাকা ভদ্রলোকের উচিত কায্য নহে, মোক্তার মহাশয় হেমচন্দ্রের এ ব্যবহার জানিতে পারিলে কি বলিবেন ? বাড়ীর ভিতরদিকের একটা দ্বার খালিয়া যাবতী সেইদিকে পলাইয়া গেল। আবার সেই বাড়ীর ভিতর হইতে হেমবাবুকে ইসারা করিয়া ডাকিতে লাগিল ! বদ্ধমানের মেয়েদের রীতি সম্বন্ধে নানারপে চিন্তা করিতে করিতে হেমবাব অগত্যা বাড়ীর ভিতর গেলেন। যাবতী আসন পাতিয়া দিল, এবং একজন পাচিকা হেমবাবকে কয়েকখানা ফলকো লুচি ও আলর দম আনিয়া দিল। হেমবাক হাত ধাইয়া আহরে বসলেন। দেখিলেন, বদ্ধমানের মেয়েদের ব্যবহার যেমনই হউক না—তাহাদের রন্ধনটা বড়ই উৎকৃষ্ট ! কিন্তু পাচিকাও বেহদ্দ বেহায়া। লুচি দিতেছে আর মুচকে মুচকে হাসিতেছে,— হেমবাব পাড়াগেয়ে লোক, তাঁহার খাইবার রকমসকম দেখিয়া মেয়ে দুইটী হাসিতেছে! আহার প্রায় শেষ হইল, পাচিকা অম্বল আনিয়া দিল। হেমবাব কচি আবের অম্বল একট চাকিয়া দেখিলেন,—আবার চাকিয়া দেখিলেন,—অবগঠেনবতী পাচিকার মুখের দিকে চাহিলেন, —সহসা বামহস্ত দিয়া পাচিকার হাত ধরিলেন! এ কি ! হেমবাব নিতান্ত ভদ্রলোক,—পরের বাড়ীর রধিনীর হাত ধরা কি রকম : পাচিকা “ছি” “ছি” বলিয়া হাত টানিয়া লইবার চেস্টা করিল, হেম হাসিয়া বলিলেন,—আর লকোইলে হইবে না, এই কচি অেিবর অম্বল খেয়ে চিনিয়াছি, এ তালপুকুরের রান্না ! বিন্দু ! তুমি করে আসিলে, কি প্রকারে বদ্ধমানে আসিলে ? বিন্দ তখন ঘোমটা খলিয়া হাসিতে হাসিতে স্বামীর পাশ্বে বসিলেন। বলিলেনద్ఘాశా జా కాగా శా శా ఇశా আমিও তাঁহাদের সঙ্গে - | হেম। যোগমায়া এই বাটীতে আছেন? দাসী এ বাটীতে আছে ? বিন্দ। তাহারা দুইজনই এখানে আছে। মোক্তার মহাশয়ের গহিণী আমাদের অনেক যত্ন করিয়া এখানে রাখিয়াছেন। তাঁহারা লোক বড় ভাল। হেম। লোক ভাল হইতে পারেন, কিন্তু বাড়ীর মেয়েদের আচার-ব্যবহার একটু বেহায়! যে মেয়েটী আমাকে বাহির হইতে ডেকে আনিল, তাহার রকম যেন কেমন কেমন! বিন্দ। না গো না, সে মেয়েটার স্বভাব-চরিত্র খব ভাল, তবে ছেলেবেলা থেকে একটা f ধারাল ! ঐ যে সে আবার আসিতেছে! 8げ@り