পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমেশ রচনাবলী —(+ হইলে তিনি ন্যায় কাম করিতে অস্বীকার করবেন না। আর মঙ্গেরে এক বীর পরিষে আছেন, তিনিও বোধ হয় আমার সহায়তা করিবেন। ইন্দ্রনাথ! সত্য পালন করিও। 壽 দেখিয়া বিস্মিত হইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন,—সরলা, তুমি অমন করিয়া উঠিলে কেন ? তুমি বেদনা পাইয়াছ ? সরলা কোন উত্তর করিতে চাহে না, মাখ গোপন করিয়া রাখে। কিন্তু অনেক জিজ্ঞাসায় বলিল,—ইন্দ্রনাথ নামক আমার পরিচিত একজন লোক আছেন, তিনিও পশ্চিম যাত্রা করিয়াছেন। তীক্ষাবৃদ্ধি বিমলার নিকট কোন কথা গোপন রহিল না। সরলার নিকট হইতে একটা একটী করিয়া সমস্ত কথা বাহির করিয়া লইলেন। ইন্দ্রনাথ সরলার হৃদয়েশ্বর, ইন্দ্রনাথ সরলার প্রণয়ী, ইন্দ্রনাথ মহাশ্বেতা ও সরলার উদ্ধারাথ দই তিন মাস হইল পশ্চিম গিয়াছেন,—তবে কি ধীরে আর একটী কথা জিজ্ঞাসা করিলেন,— সরলা উত্তর করিল,—তাঁহার বাম হস্তে একটী নিবিড় কৃষ্ণ যৌতুক চিহ্ন আছে। বিমলার শরীর কপিয়া উঠিল,—ইন্দ্রনাথের হস্তে সে চিহ্ন তিনিও দেখিয়াছেন। : নীরবে বিমলা পাশ ফিরিয়া শুইলেন, তাঁহাকে নিদ্রিতা বিবেচনা করিয়া বালিকা সরলাও ঘমাইল । চতুবিংশ পরিচ্ছেদ : বিৰাহের বরকন্যা "O ! do not tempt,” she said, "O! do not add to my distress, I have tasted much of bitterness.” 水 冲之 3. But ah, fair maid, thou plead'st in vain, His heart is proof to prayers, Albeit like darksome floods of rain Thou shedst thy scalding tears. —S. C. Dutt. রাত্রি প্রভাত হইল। আজ বিমলার পক্ষে ভয়ানক দিন। কিন্তু বিমলা বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাইবার উপায় উদ্ভাবন করিয়াছিলেন। প্রাতঃকালে বিমলা শয্যাগহে হইতে অন্য একটা গহে যাইয়া উপাসনা করিতে লাগিলেন, অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত উপাসনা করিতে লাগিলেন, অবিশ্রান্ত আশ্রধোরা কপোলদেশ প্লাবিত করিয়া বহিতে লাগিল। উপাসনা সাঙ্গ করিয়া বিমলা বাহিরে আসিলেন, দেখিলেন, শকুনি তথায় অপেক্ষা করিতেছেন। দেখিয়া শিহরিয়া উঠিলেন, গায়ের রক্ত শুকাইয়া গেল। শকুনি স্থির ভাবে দন্ডায়মান হইয়া বিমলার দিকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। সপ যেরপে ভেককে ভক্ষণ করিবার অগ্রে নিরীক্ষণ করে, সেইরাপ শকুনি বিমলার দিকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। বিমলাও নিপন্দশরীরে দণ্ডায়মান হইয়া ভূমির দিকে একদস্টে চাহিতেছিলেন। তাঁহার হৃদয় ভয়ে ও ক্রোধে জর্জরীভূত হইতেছিল। অবশেষে মন্দস্বেরে কহিলেন-শকুনি, আমি হতভাগিনী, আমার মত হতভাগিনী আর নাই, আমাকে আর দুঃখ দিও না, ক্ষমা কর। সে বচনে পাষাণও দ্রবীভূত হইত, শকুনির হৃদয় দ্রবীভূত হইল না। তিনি ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন,—এইজন্য বুঝি সময় চাহিয়াছিলে ? Q, @ bf