ইল্পীরিয়লিজম্। বিলাতে ইস্পীরিয়ালিজমের একটা নেশা ধরিয়াছে। অধীনদেশ ও উপনিবেশ প্রভৃতি জড়াইয়া ইংরেজসামাজাকে একটা বৃহং উপসর্গ করিয়া ঠলিবার ধ্যানে সে দেশে অনেকে নিযুক্ত আছেন। বিশ্বামিত্র একটা নুতন জগংস্তষ্ট করিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন, বাইবল কথিত কোনো রাজা স্বর্গের প্রতি স্পৰ্দ্ধা করিয়া এক স্তম্ভ তুলিবার চেষ্টা কবিয়ছিলেন, স্বরং দশাননের সম্বন্ধেও এরূপ একটা জনশ্রুতি প্রচলিত অাছে । দেখা যাইতেছে এইরূপ বড় বড় মতলব পৃথিবীতে অনেক সময়ে অনেক লোকে মনে মনে আঁটিয়াছে। এসকল মংলর টেকেনা—কিন্তু নষ্ট হইবার পূৰ্ব্বে পৃথিবীতে কিছু অমঙ্গল না সাধিয়া যায় না । كا র্তাহাদের দেশের এই খেয়ালের ঢেউ লর্ড কার্জনের মনের মধ্যেও মে তোলপাড় করিতেছে সে দিনকার এক অলক্ষণে বক্তৃতায় তিনি তাহার আভাস দিয়াছেন । দেখিয়াছি আমাদের দেশের কোনো কোনো খবরের কাগজ কখনো কখনো এই বিষয়টাতে একটু উৎসাহ পকাশ করিয়া থাকেন। র্তাহারা বলেন, বেশ কথা, ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ এম্পয়ারে” কাত্ম হইবার অধিকার দাওনা । কথার ছল ধরিয়া ত কোনো অধিকার পাওয়া যায় না—এমন কি, লেখাপড়া পাকা কাগজে হইলেও দুর্বল লোকের পক্ষে নিজের স্বত্ব উদ্ধার করা শক্ত। এই কারণে যখন দেখিতে পাই যাহারা আমাদের উপরওয়ালা তাহারা ইম্পরিয়ালবায়ুগ্ৰস্ত, তখন মনের মধ্যে স্বস্তিবোধ করি না । . পাঠকেরা বলিতে পারেন, তোমার আত ভয় করিবার প্রয়োজন কি, যাহার হাতে ক্ষমতা আছে সে ব্যক্তি ইস্পীরিয়ালিজমের বুলি আওড়াকৃ