পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিওযাংয়ে রুষ । 300 নড়াও উন্মত্ততা মাত্র। জাপানিগণ পোর্ট আর্থার দখল করিলেও রুষের বিশেষ ক্ষতি বৃদ্ধি হইবে না । আলেক্‌জিফ অন্যরূপ বুঝিলেন। তিনি বলিলেন, “যদি পোর্ট আর্থার জাপানিগণ জয় কবে, তাহা হইলে রুষের সমস্ত যুদ্ধপোত তাহদের হস্তে পড়িবে ; তাহারা সেই সকল জাহাজ অনতিবিলম্বে মেরামত করিয়া সমুদ্র মধ্যে একাধিপত্য লাভ করিবে ;-চিরদিনের জন্য রুষের মান সন্ত্ৰম এ প্রদেশে সম্পূর্ণ নষ্ট হইয়া যাইবে -এমন কি চীনেগণও আর তাহাদিগকে মানিবে না । এত পরিশ্রমে, এত যত্নে, এত অৰ্থ ব্যয়ে রুষ এ দিকে যে বিস্তৃত সাম্রাজ্য বিস্তার করিয়াছেন, তাহা সমুলে নিৰ্ম্মল হইবে। কুরোপাটুকিনের আব্ব এক দিনও নীরবে বসিয়া থাকা উচিত নহে। তাহার ইতিপূর্বেই ওকুকে পশ্চাৎ হইতে আক্রমণ করা উচিত ছিল। কুরোপাটুকিনি যদি ইহা করিতেন, তাহা হইলে জাপানিগণ কখনই নানসানের যুদ্ধে জয়ী হইতে পারিত না। পোর্ট আর্থার উদ্ধারের জন্য র্তাহার। আর এক মুহুৰ্ত্ত বিলম্ব করা উচিত নহে।” এই সময়ে রুষ-সেনাপতি একজন বন্ধুকে বলিয়াছিলেন, “প্ৰথম মাসে লোকে বলিবে আমি অনৰ্থক নিষ্কৰ্ম্ম বসিয়া আছি। :--দ্বিতীয মাসে বলিবে আমি অপদাৰ্থ ;-তৃতীয় মাসে বলিবে আমি বিশ্বাসঘাতক রাজদ্রোহী । যে যাহাঁই বলুক, আমি যাহা স্থির করিয়াছি, তাহা হইতে এক পদও বিচলিত হইব না । জুলাই মাসে আমার সেনাসজ্জা সম্পূর্ণ হইবে,- তখন আমি যুদ্ধ আরম্ভ করিব।” আলেকজিফ এ কথা শুনিলেন না। তাহাই ২৭শে মে কুরোপাটুকিনি মুক্‌ডেনে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এখানে রুষের গভর্ণর-জেনারেল মহা সমারোহে বাস করিতেছিলেন । ইহা দেখিয়া কুরোপাটুকিনি ক্ৰকুট করিয়া আলেক্‌জিফের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। উভয়েই রুষসাম্রাজ্যের স্তম্ভম্বরূপ ;-উভয়েই জগৎবিখ্যাত;-তবে কুরোপাটুকিনি কাৰ্য্য