বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 커한 1 Sv) সুদৃঢ় দুর্গে পরিণত করিয়াছিলেন। সকলেরই বিশ্বাস ছিল যে জাপানিগণ কিছুতেই রুষের এই দুর্ভেদ্য পাৰ্ব্বত্য দুর্গ অধিকার করিতে পারিবে না ; কিন্তু পুর্বের ন্যায়। জাপানিগণ চারিদিক হইতে রুষগণকে আক্রমণ করাষ, তাহারা বাধ্য হইয়া এই সুদৃঢ় দুর্গ ত্যাগ করিয়া পশ্চাৎদিকে হটিয়া গেল। সাইমাটুসির নিকটও একটা পাৰ্ব্বত্য পথ ছিল। ২৯শে জুন জাপানিগণ সেটাও দখল করিল। তখন তাসিচাও, হাইচেং, লিওযাং ও মুক্‌ডেনের পথ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হইয়া গেল। এখন জাপানিগণ অনায়াসে এই চারি রুষ-সহরই আক্রমণ করিতে পারেন ; কিন্তু তাহার এই সকল আক্রমণে ব্যস্ততা প্ৰকাশ করিলেন না । তাহারা যে সকল স্থান অধিকার কবিয়াছিলেন, তাহাই সুদৃঢ় করিতে লাগিলেন। ৬ই জুলাই মার্সাল ওয়াম, সেনাপতি কোদামা সহ, রাজধানী টোকিও হইতে যুদ্ধক্ষেত্রে যাত্ৰা করিলেন। সমস্ত সহর সে দিন নানা রঙ্গের নানা সুন্দর সুন্দর পতাকায় ও ফুলহারে সজ্জিত হইল। লক্ষ লক্ষ লোক সমবেত হইয়া পুনঃ পুনঃ তাহার জয়ধ্বনি কবিতে লাগিল। স্বয়ং সম্রাট তাহার বুদ্ধ সেনাপতিকে সসম্মানে বিদায় দিলেন । ৬ই জুলাই পৰ্যন্ত কুরোকির জাপানিগণ আর অগ্রসর হইলেন না ; কিন্তু এই দিবস প্ৰাতে সেনাপতি ওকু কাইচে অধিকাব করিবার জন্য অগ্রসব হইলেন। ৬ই হইতে ৯ই পৰ্যন্ত ক্ৰমান্নয় যুদ্ধ চলিল ; কিন্তু ইতিমধ্যেই রুষগণ কাইচে পরিত্যাগ করিয়া লিওযাংয়ে পশ্চাৎপদ হইয়াছিল। রুষের একদল পশ্চাতে যুদ্ধ করিতেছে-অপর সকল সৈন্য ক্রমে ক্রমে অন্যত্ৰ চলিয়া যাইতেছে,-এরূপ যুদ্ধ সহজ নহে। সেনাপতির সুদক্ষতা ও সেনাগণের দুর্দমনীয় বীরত্ব না থাকিলে, এরূপ যুদ্ধ অসম্ভব । এ অবস্থাতেও রুষগণ প্ৰাণপণে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন ; কিন্তু জাপানিগণকে প্রতিরোধ করিবার ক্ষমতা তাহদের ছিল না। তাহাই তাহারা ক্ৰমান্বয় হটিয়া যাইতে বাধ্য হইলেন।