বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসের ধৰ্ম্ম করে । ধৰ্ম্মে যখন রসের বর্ষা নেবে অাসে তখন যে-সকল গ্রহবর পরম্পরের মধ্যে ব্যবধান রচনা করেছিল তারা ভক্তির স্রোতে প্রেমের বস্তায় ভরে ওঠে, এবং সেই পূর্ণতায় স্বাতস্থ্যের আচল সীমা গুলিই সচল হয়ে উঠে অগ্রসর হয়ে সকলকে মিলিয়ে দিতে চায়, বিপরীত পারকে এক করে দেয় এবং দুর্লঙ্ঘ্য দুরকে আনন্দবেগে নিকট করে আনে। মানুষ যথনি সত্যভাবে গভীরভাবে মিলেছে তথন কোনো একটি বিপুল রসের আবির্ভাবেই মিলেছে, প্রয়োজনে মেলেনি, তত্ত্বজ্ঞানে মেলেনি, আচারের শুষ্কশাসনে মেলেনি । ধৰ্ম্মের যখন চরম লক্ষ্যই হচ্চে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনসাধন, তখন সাধককে এ কথা মনে রাখতে হবে যে, কেবল বিধিবদ্ধ পূজাচ্চন আচার অনুষ্ঠান শুচি তার দ্বারা তা হতেই পারে না। এমন কি, তাতে মনকে কঠোর করে ব্যাঘাত আনে এবং ধাৰ্ম্মিক তীর অহঙ্কার ス >